উন্নত দেশগুলোর মতো বিদ্যুৎচালিত ট্রেন চালাতে সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ লক্ষ্যে রেলওয়ে রোববার তুরস্কের প্রতিষ্ঠান টুমাস টার্কিশ ইঞ্জিনিয়ারিং কনসাল্টিং অ্যান্ড কন্ট্রাক্টিংয়ের সঙ্গে চুক্তি সই করেছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানটি আগামী এক বছরে নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর রেলপথে ইলেক্ট্রিক ট্রাকশন নির্মাণের সমীক্ষা এবং বিস্তারিত নকশা করবে।
রাজধানীর রেলভবনে অনুষ্ঠিত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছরের ৩০ এপ্রিলের মধ্যে সমীক্ষার কাজ শেষ হবে। নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে তাগিদ দেন রেলমন্ত্রী।
২০২১ সালের নভেম্বরে সম্ভ্যবতা যাচাই সমীক্ষার কাজ শুরুর পরিকল্পনা থাকলেও তা পারেনি রেলওয়ে। ওই সময়ে এ কাজে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছিল আট কোটি টাকা। ডলারের দাম বাড়ায় ব্যয় ১৩ কোটি টাকা ছাড়াতে পারে বলে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ধারনা দেওয়া হয়।
বর্তমানে ডিজেলচালিত ইঞ্জিনে চলে যাত্রীবাহী ট্রেন এবং পণ্যবাহী মাল গাড়ি। এতে রেল পরিচালনায় উচ্চ খরচ হয়। কার্বন নিঃসরণের কারণে পরিবেশ দূষণও হচ্ছে। দূষণ ও খরচ কমাতে বিদ্যুতশক্তিতে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমীক্ষা করা হচ্ছে। সমীক্ষায় ওভারহেড ক্যাটেনারি (ট্রেনের উপর বিদ্যুতিক তার) এবং সাবস্টেশনের নকশাও করা হবে। এ পদ্ধতিতে ওভারহেড ক্যাটেনারি থেকে পাওয়া বিদ্যুতে চলে ট্রেনের ইঞ্জিন। নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রেল যোগাযোগের আধুনিকায়নে ইলেক্ট্রিক ট্রাকশনের ব্যবহার করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলকে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, ইউরোপসহ পৃথিবীর সব দেশ গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ট্রেন চালাচ্ছে। পরিবেশ বান্ধব এই পদ্ধতিতে ট্রেন চালাতে বাংলাদেশও উদ্যোগ নিয়েছে। এতে ভারতের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ বাড়বে।
চুক্তিতে নিজ নিজ পক্ষে সই করেন রেলেওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান তড়িৎ প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ইসমাইল হেইদারলি। রেলের মহাপরিচালক কামরুল আহসানসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।