টি২০ ম্যাচে বলে বলে বিচ্ছুরিত হয় উত্তেজনার বারুদ। কখনও তা থেকে ফুলকি দিয়ে স্ফুলিঙ্গ ছড়ায় বিদ্যুৎ গতিতে। মুহুর্মুহু বাঁক বদল করে ম্যাচ। শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তের ঝাপটা লাগে স্নায়ুতে। গতকাল উত্তেজনা, বাঁক বদল, নাটকীয়তা, স্নায়ুর চাপ ছিল সিলেটের রোমাঞ্চকর টি২০ গেমে। শেষ দিকে তো পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকে। শেষ ওভারে ৬ রান করতে তিন বলে তিন উইকেট হারালে পরাজয়ের শঙ্কায় পড়ে দল। হ্যাটট্রিকম্যান করিম জানাতকে বাউন্ডারি মেরে সেখান থেকে ম্যাচ জেতান শরিফুল ইসলাম। বাঁহাতি এ পেসারের ব্যাট থেকে ‘ফিনিশিং’ রান এলেও জয়ের নায়ক তাওহিদ হৃদয়। ২ উইকেটের জয়ের ম্যাচটি তাওহিদের হৃদয় জেতা।
বাংলাদেশ ১৫৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ওপেনিং ওভারে উইকেট হারায়। ফজলহক ফারুকির একটি দারুণ ডেলিভারিতে রনি তালুকদারের স্টাম্প উড়ে যায়। নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাসও ভুল শটে উইকেট হারান। সাকিব থিতু হতে পারেননি চাপের মুহূর্তে। বাংলাদেশ ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারালেও আফগানদের থেকে পিছিয়ে পড়েনি। দু’দলের ইনিংস বিশ্লেষণ করলে ১০ ওভার শেষে সফরকারীদের চেয়ে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। সেখান থেকে শামীম ও হৃদয় ৪৩ বলে ৭৩ রানের জুটি গড়ায় হাতের মুঠোয় আসে ম্যাচ। মূলত ১৪তম ওভার থেকে উত্তেজনার পারদ উঠতে থাকে। টান টান রেখে এগোতে থাকে গেম। শেষ ২৪ বলে ২৬ করতে হতো পাঁচ উইকেটে। ২৪ রানে জীবন পাওয়া শামীম রশিদের শেষ ওভারে উইকেট হারালে দুশ্চিন্তা বাড়ে। ২৫ বলে ৩৩ রান করে শামীমকে সাজঘরে ফিরতে দেখতে চাননি কোচ। তিনি চেয়েছিলেন সেট জুটি খেলা শেষ করবে। জিততে শেষ ওভারে ছয় রান করতে হতো বাংলাদেশকে। করিম জানাতের প্রথম বলেই চার হাঁকান মেহেদী হাসান মিরাজ। নাটক তখনও বাকি ছিল। মিরাজ-তাসকিন-নাসুমকে টানা তিন বলে আউট করে হ্যাটট্রিক করেন করিম। গ্যালারিতে তখন পিনপতন নীরবতা। শরিফুল নেমে বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে নীরবতা ভাঙেন। উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচ এক বল হাতে রেখে জিতে নেয় বাংলাদেশ। ৩২ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত হৃদয়।