উজানের ঢলে ফুলে–ফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। শুক্রবার সকাল থেকে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনি ও রোববার নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
পাউবো সূত্র জানায়, ভারতে গজলডোবা ব্যারাজের অধিকাংশ গেট খুলে দেওয়ায় প্রচন্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া রংপুর বিভাগের অন্যান্য নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে নদীর তীরবর্তী নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ ও হাতিবান্ধা এবং রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরগুলোর কিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
এদিকে পানি বাড়তে থাকায় তিস্তা পাড়ের মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। নদী তীরবর্তী নিম্নাচল প্লাবিত হওয়ায় অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে চলে যাচ্ছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্ততি নিয়েছেন তারা। ভারতের গজলডোবায় রেড এলার্ট জারি করা হয়েছে। নদীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। বড় বন্যা দেখা দিলে নদীতীরবর্তী এলাকার মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে। তিস্তা ছাড়াও ধরলা ও দুধকুমার, বুড়ি তিস্তা, সানিয়াজান নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলেও শঙ্কা জানান তিনি।