সাদা বলের ক্রিকেটে আফগানিস্তান যে ভালো দল, সে প্রমাণ গত কয়েক বছর ধরেই দিচ্ছে তারা। বিশ্বকাপ সুপার লিগ থেকে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলছে আফগানরা। টি২০ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলে আরও আগে থেকে। ২০ ওভারের ক্রিকেটে ভালো দল তারা। র্যাঙ্কিংয়েও বেশিরভাগ সময় বাংলাদেশের ওপরে থাকে।
সেদিক থেকে নানা কারণে এই সিরিজে নিজেদের ফেভারিট দাবি করতেই পারেন রশিদ খান। বিশেষ করে চট্টগ্রামে ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নেওয়ার পর সফরকারী ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস উঁচুতে। রশিদ খানের বিশ্বাস, সিলেটে দুই ম্যাচের টি২০ সিরিজে প্রভাব বিস্তার করে খেলতে পারবেন তারা।
আফগানিস্তানের টি২০ দলে বৈশ্বিক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের প্রভাব অনেক বেশি। আইপিএল, পিএসএল, সিপিএল, এলপিএলে দেশটির বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার খেলেন। আফগান টি২০ অধিনায়ক রশিদ খান তো বৈশ্বিক তারকা। তাঁর মতো লেগ স্পিনার এ মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটে নেই বললে চলে। মুজিবুর রহমান, মোহাম্মদ নবীর মতো অফ স্পিনারের কদরও কম না ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে। যেটা সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আফগান দলের উন্নতির পাথেয় হিসেবে কাজ করেছে।
এই সংস্করণে বাংলাদেশের বিপক্ষে বরাবরই ভালো খেলেছে তারা। ৯ ম্যাচ খেলে ৬টিতে জিতেছে তারা। বাংলাদেশ জিতেছে তিন ম্যাচে। গত বছর রশিদ খানদের কাছে দেশের মাটিতে দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হেরেছেন সাকিবরা। এশিয়া কাপেও শারজায় হেরেছে।
আফগান অধিনায়কের বিশ্বাস এবারও আধিপত্য দেখাতে পারবেন সিলেটে, ‘আমরা সিরিজ জিতেছি। চার বছর আগে টেস্ট ম্যাচও জিতেছিলাম। দলের জন্য যেটা অনেক বড় সাফল্য ছিল। ভালো দিক হলো, এশিয়া কাপের জন্য আমরা প্রস্তুত। প্রস্তুতি ভালো হয়েছে, জয়ের ছন্দেও আছি। এশিয়া কাপ এবং বিশ্বকাপে ছন্দটা নিয়ে যেতে চাই। টি২০তে আমরা ভালো করতে চাই। আমার মনে হয়, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি সিরিজ হতে যাচ্ছে। আমরা উন্নতি দেখিয়ে সিরিজ ও ট্রফি জিততে চাই।’
আফগানরা যেমন উন্নতি দেখাতে চায়, তেমনি বাংলাদেশও। বিশ্বকাপের বছর হলেও পরের বছরের জন্য টি২০ দল গোছানোর লক্ষ্য থাকবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ভালো খেলা।