বিএনপির কর্মসূচি থেকে দেওয়া সরকারের পদত্যাগের দাবি পুরোনো কথা। তবে সেখানে সংসদ বিলুপ্ত করা দাবি দুরভিসন্ধিমূলক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, দেশে একটি সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টিই তাদের (বিএনপির) উদ্দেশ্য।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘গন্তব্য স্মার্ট বাংলাদেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদ পরবর্তী সংসদ নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকে। সংসদ বিলুপ্ত করার দাবি দেওয়ায় প্রমাণ হয়, বিএনপি দেশে একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে চায়। সেটি করে তারা অসাংবিধানিক কোনো কিছুকে জায়গা করে নিতে চায়। সে লক্ষ্যেই তারা সংসদ বিলুপ্ত করার দাবি দিয়েছে।
এটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি স্বরূপ ও গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার হীন উদ্দেশ্যেই বিএনপি এই দাবি করেছে বলে মনে করেন হাছান মাহমুদ।
‘এর আগেও বিএনপি নানা ধরনের ঘোষণা দিয়েছিল কিন্তু কোনোটিই হালে পানি পায়নি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ঘোষণা দিয়েছিল- বেগম জিয়ার যখন শাস্তি নিশ্চিত হবে তখন আন্দোলন করবে। কিন্তু তারা তা পারেনি। আবার বেগম জিয়াকে মাঝেমধ্যে খুব অসুস্থ বানিয়ে জীবন সংকটাপন্ন বলে মানুষের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টাও হালে পানি পায়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইইউ প্রতিনিধি দল স্বপ্রণোদিত হয়ে আসেনি। নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে তারা পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রস্তুতি হিসেবে এ সফরে এসেছে। তাই তাদের সফর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সহায়ক।
মার্কিন প্রতিনিধি দলের আগমনকে বহুমাত্রিক সহযোগিতা বিষয়ক উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফর আমাদের সম্পর্ককে দৃঢ় করার ক্ষেত্রে সহায়ক। বাংলাদেশে সফররত মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গেছেন। রোহিঙ্গা সমস্যা একটি মানবিক সমস্যা, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। এই সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় আন্তর্জাতিক বিশ্ব।