প্রেমের টানে দেশান্তরি হয়ে ভিনদেশি নাগরিককে বিয়ে করার ঘটনা নতুন নয়। এবার বাংলাদেশের নোয়াখালীতে সে ঘটনা ঘটালেন লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর তরুণী আনা কেলি কারাঞ্জা সাওসিডো (৩৩)। জেলার চাটখিল উপজেলার হাটপুকুরিয়া ইউনিয়নের ঘাটলাবাগ এলাকার বারাই বাড়ির নুর আলমের ছেলে মো. আরমান হোসেনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি।
ছয় বছর ধরে আরমানের সঙ্গে প্রেম চলছিল কারাঞ্জা সাওসিডোর। দীর্ঘদিনের এই ভালোবাসার টানে ২ জুলাই এক মাসের ভিসা নিয়ে ঢাকায় আসেন কারাঞ্জা সাওসিডো। পরদিন ঢাকায় দুজনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। চার দিন ঢাকায় অবস্থান করার পর গতকাল বৃহস্পতিবার স্ত্রী কারাঞ্জা সাওসিডোকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন আরমান। বাংলাদেশে এসে বিয়ে করা নতুন কনে দেখতে তাঁর বাড়িতে ভিড় করেছেন আশপাশের এলাকার মানুষ।
কারাঞ্জা সাওসিডো বাংলা বলতে পারেন না। ইংরেজিতে তিনি বলেন, ‘আমি নিজ ইচ্ছায় আমাদের ভালোবাসার সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখতেই আরমানের কাছে বাংলাদেশে ছুটে এসেছি। আমরা যেন সুখী হতে পারি, সে জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।’
আরমান বাংলাদেশ পুলিশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কনস্টেবল পদে কর্মরত। সাওসিডোর সঙ্গে তাঁর পরিচয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। সেখান থেকেই প্রেম ও পরিণয়।
আরমান হোসেন বলেন, ২০১৭ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পেরুর তরুণী সাওসিডোর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। পরবর্তী সময়ে বন্ধুত্ব গড়ায় ভালোবাসার সম্পর্কে। সাওসিডোর সঙ্গে মুঠোফোনে ও ভিডিও কলে তাঁর নিয়মিত কথা হতো। ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পরই তাঁদের প্রথম দেখা হয়। করোনা–পরবর্তী সময়ে কারাঞ্জা সাওসিডো বিয়ের বিষয়ে আগ্রহী হন। বাংলাদেশে আসার পর ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাঁরা বিয়ে করেন। বর্তমানে আরমানের গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন এই দম্পতি। নতুন জীবনের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন আরমান।
এর আগে গত ২৪ জুন মালয়েশিয়ার তরুণী স্মৃতি আয়েশা বিন রামাসামি (২২) নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনী পৌরসভার হাজীপুর এলাকার কবির হোসেনের ছেলে ফরহাদ হোসেনকে (২৬) বিয়ে করেন। ফরহাদ অবশ্য পাঁচ বছর আগে মালয়েশিয়ায় গিয়েছিলেন। সেখানে রামাসামির সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।