মেন্দি সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন নুর: ফারুক হাসান

0
170
জাতীয় প্রেসক্লাবে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সংবাদ সম্মেলন।

গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেছেন, ‘মোসাদের এজেন্ট মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর।’ তিনি দাবি করেন, গণমাধ্যমে বিষয়টি স্বীকার না করলেও দলের অভ্যন্তরীণ একাধিক বৈঠকে বিষয়টি স্বীকার করেছেন নুর। তবে কী বিষয়ে বৈঠক করেছেন তা দলকে জানাননি।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। ফারুক হাসান বলেন, ‘গত ১৮ জুন গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুরের কিছু অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ড. রেজা কিবরিয়ার বাসার ছাদে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভা হয়। সেখানে তিনি নূরের বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ তোলেন। এরমধ্যে একটি অভিযোগ ইসরায়েলের নাগরিক মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে নুরের বৈঠক সংক্রান্ত। ওই বৈঠকের সত্যতা সংক্রান্ত কিছু তথ্য সে সময় তুলে ধরা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সন্দেহভাজন লোকের সঙ্গে গোপন বৈঠকের অভিযোগ আনা হয় নুরের বিরুদ্ধে।

ফারুক হাসান বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নুর কাতারে ইসরাইলি নাগরিক মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে বৈঠকের বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার বিষয়ে অস্বীকার করেন। বৈঠকের আলোচ্য বিষয় জানাতেও অস্বীকৃতি জানান। পরে নুর দলের কয়েকজনকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে অশালীন ভাষা ব্যবহার করেন। ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। তখন রেজা কিবরিয়া সভাস্থল ত্যাগ করেন এবং সভা মুলতবি হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফারুক হাসান বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ড. রেজা কিবরিয়ার কথিত অপসারণ সম্পূর্ণ অবৈধ। আমরা রেজা কিবরিয়ার এই অবৈধ অপসারণ প্রক্রিয়া সমর্থন করি না। তিনি দলের আহ্বায়ক হিসেবে বহাল আছেন বলে মনে করি। রেজা কিবরিয়াকে বাদ দিয়ে যারা কাউন্সিলের দিন নির্ধারণ করেছেন তারা পরিকল্পিতভাবে দলকে ভাঙনের দিকে ঠেলে দিতে চাচ্ছেন।’

নিজেদের প্রকৃত গণঅধিকার পরিষদ দাবি করে তিনটি দাবি জানান ফারুক হাসান। যার মধ্যে রয়েছে— নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা; খালেদা জিয়া, জামায়াত নেতা শফিকুর রহমান, হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনল হকসহ সব রাজবন্দিদের মুক্তি এবং পাসপোর্টে ‘একসেপ্ট ইসরায়েল’ লেখা পুনর্বহাল করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান ও কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা ড. আবদুল মালেক ফরায়েজী, যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন ও জাকারিয়া পলাশ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব মো. আতাউল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, সহকারী সদস্যসচিব মো. শামসুদ্দিন, সহকারী সদস্যসচিব আবু সাঈদ মুসা, সহকারী সদস্যসচিব শেখ খাইরুল ইসলাম, সহকারী সদস্যসচিব তারেক রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্যসচিব জিয়াউর রহমান প্রমুখ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.