পাকিস্তানের লাহোরে আজ বুধবার ২৯১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা ১৩০ বছরের মধ্যে রেকর্ড। এর ফলে শহরে বন্যা দেখা দিয়েছে। অনেক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে সাতজনের।
পাঞ্জাবের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মহসিন নাকভি লাহোরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাদ ধসে দুজনের, পানিতে ডুবে একজনের ও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।’ তবে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে পরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে সাত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
ভোরের দিকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে শহর মূলত অচল হয়ে পড়ে। বড় বড় সড়ক ও সংযোগ সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। হাঁটুপানিতে অনেক যানবাহন আটকা পড়ে। শাহ জামাল ও তাজপুরার মতো নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘরে বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়ে। পাশাপাশি এলাকাগুলো বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্নও হয়ে পড়ে।
লাহোরের কমিশনার মোহাম্মদ আলী রানধাওয়া বলেন, গত ৩০ বছরে এত অল্প সময়ে এত বেশি বৃষ্টি হয়নি। গত বছর ২৩৮ মিলিমিটার ও ২০১৮ সালে ২৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল।
আলী রানধাওয়া আরও বলেন, শহরের ১২টির বেশি জায়গায় ২০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। শহর প্রশাসন ও ওয়াটার অ্যান্ড স্যানিটেশন অথরিটির সব কর্মকর্তা ও কর্মী বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কাজ করছেন। গত ২৬ জুন লাহোরে ২৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। গত বছর হয়েছিল ১৩৮ মিলিমিটার।
ওয়াসা মনসুন কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে লক্ষ্মীচকে। সেখানে ২৯১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এরপরই নিশতার টাউনে (২৭৭) এর কুরতাবাতে ২৭০ মিলিমিটার, গুলশান-ই-রাভিতে ২৬৮ মিলিমিটার, পানি ওয়ালা তালাবে ২৬৮ মিলিমিটার, জোহর টাউনে ২৬০ মিলিমিটার, তাজপুরা ২৪৯ ও ইকবাল টাউনে ২৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়।
নাকভি বলেন, ‘মন্ত্রিসভার সব সদস্য ও প্রশাসনের লোকজন মাঠে কাজ করছেন। মাঠপর্যায়ে আমি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সারাক্ষণই আমি লাহোরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে খবর পাচ্ছি।’
এদিকে বৃষ্টি থামার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নিম্নাঞ্চলের পানি নিষ্কাশন করা হবে বলে জানিয়েছেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক গুরফান আহমেদ।
আবহাওয়া দপ্তর আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বৃষ্টি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে।