বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে মৌসুম বদলালেও আষাঢ় একেবার নিরাশ করে না। কিছু বৃষ্টি ঝরাই! আট বছর আগে চট্টগ্রামে আষাঢ়ে অনুষ্ঠিত শেষ ওয়ানডে সিরিজেও ছিল বৃষ্টির বড় প্রভাব। বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের এই সিরিজেও বৃষ্টির চোখ রাঙানি ছিল। পূর্বাভাস মতো, বৃষ্টির তিন বাধা ঠেলে সম্পন্ন হলো না প্রথম ওয়ানডে। বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশকে ১৭ রানে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।
বৃষ্টি ম্যাচটা জিততে আফগানদের সহায়তা করেছে। তবে দায়টা বেশি বাংলাদেশের ব্যাটারদের। সাগরিকার ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে ৪৩ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৯ উইকেটে স্বাগতিকরা ১৬৯ রান তুলতে পারে। দ্বিতীয় বৃষ্টি বাধায় ম্যাচ প্রতি ইনিংসে সাত ওভার কমে না গেলে অলআউট ঠেকানো কঠিন হতো বাংলাদেশের। কারণ ৩৫তম ওভারে খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ১৩৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়েছিল হাথুরুসিংহের দল।
ব্যাটিং ব্যর্থতার এই দায় বাংলাদেশের টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের। ৩০ রানের ভালো শুরু দিয়ে ওপেনার তামিম ইকবাল ১৩ রান করে ফিরে যান। অন্য ওপেনার লিটন দাস ২৬ রান করে সেট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তিনে নামা নাজমুল শান্তর ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১২ রান। মিডল অর্ডার ছিল আরও ভঙ্গুর। সাকিব আল হাসান মাত্র ১৫ ও মুশফিকুর রহিম ১ রান করে আউট হন। দলে ফেরা আফিফ (৪) এবং নিয়মিত একাদশের মিরাজ (৫) ব্যর্থ হন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন তরুণ তাওহীদ হৃদয়।
বাংলাদেশ ১৬৯ রান করলেও জবাব দিতে নামা আফগানরা ১৬৪ রানের লক্ষ্য পায়। ওপেনিং জুটিতে ৫৪ রান করে লক্ষ্য সহজ করে ফেলে তারা। ৭০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় সফরকারী দল। তৃতীয় বৃষ্টি বাধার আগে ২১.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৮৩ রান তুলে ফেলে আফগানিস্তান। বৃষ্টি থামলে ২৯ ওভারে ১১১ রানের লক্ষ্য দেয় হয় তাদের। যার অর্থ জিততে ৭.২ ওভারে দরকার ২৮ রান। কিন্তু ভেজা মাঠের কারণে সেটাও করতে হয়নি তাদের। বৃষ্টি আইনে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় তাদের।
দলকে সহজে জেতাতে ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ৪১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। এছাড়া গুরবাজ করেন ২২ রান। এর আগে বল হাতে রশিদ খান ২১ রান ও মুজিব উর ২৩ রান দিয়ে নেন দুটি করে উইকেট। পেসার ফজলহক ফারুকী তুলে নেন তিন উইকেট। সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে আগামী শনিবার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান।