ফুসফুসে ক্ষত সৃষ্টিকারী রোগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় তৈরি ওষুধ মানবদেহে প্রয়োগ

0
204
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি

এখন সর্বত্রই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। সম্প্রতি ওষুধশিল্পে এর প্রভাব পড়েছে। ইডিওপ্যাথিক পালমোনারি ফাইব্রোসিস (আইপিএফ) নামে পরিচিত যকৃতের একধরনের রোগ নিরাময়ের জন্য একটি ওষুধের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য মানবদেহে তা প্রয়োগ করা হয়েছে। ওষুধটি তৈরি করা হয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের মাধ্যমে। যকৃতের এ রোগের কারণে ফুসফুসে ক্ষত তৈরি হয়।

হংকংভিত্তিক জীবপ্রযুক্তি (বায়োটেকনোলজি) প্রতিষ্ঠান ইনসিলিকো মেডিসিন আইএনএস০১৮_৫৫ নামের এই ওষুধ তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মুখে খাওয়ার এ ওষুধের দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা (ট্রায়াল) চলছে। চীনে ১২ সপ্তাহ ধরে পরীক্ষা চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।

পরবর্তীকালে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ৬০ জন মানুষের ওপর ওষুধটির কার্যকারিতা পরীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। কার্যকারিতা পরীক্ষায় সফল হলে ওষুধটি আরও মানুষের দেহে প্রয়োগ করে গবেষণা চালাবে প্রতিষ্ঠানটি।

ইনসিলিকো মেডিসিনের সহপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (কো-সিইও) ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফেং রেন বলেছেন, ফাইব্রোসিস ও ইনফ্লামেশন উভয় নিরাময়ে সম্ভাবনা থাকায় সারা বিশ্বের রোগীরা ওষুধটির জন্য উপকৃত হবেন।

ইনসিলিকো মেডিসিনের প্রতিষ্ঠাতা ও কো-সিইও অ্যালেক্স জাভোরনকভ বলেছেন, ওষুধটির দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষাই এআই প্রযুক্তির প্রকৃত বৈধতা তুলে ধরে। এআই দিয়ে তৈরি নতুন এ ওষুধ তাঁরা রোগীদের ওপর প্রয়োগ করে কার্যকারিতা পরীক্ষা চালিয়ে যাবেন।

২০২০ সাল থেকে ওষুধটি তৈরির কাজ শুরু করে ইনসিলিকো মেডিসিন। প্রতিষ্ঠানটি এআই দিয়ে কোভিড-১৯ ও ক্যানসারের জন্য আরও দুটি ওষুধ তৈরি করেছে। এগুলোও এখন পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে।

কোভিড-১৯-এর ওষুধটির প্রথম ধাপের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলছে। সম্প্রতি দুটি ওষুধই মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে মার্কিন ওষুধ প্রশাসন এফডিএ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.