দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি বন্ধ করেছেন আমদানিকারকরা। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত লোকসানের অজুহাতে এ বন্দর দিয়ে কোনো কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়নি।
আমদানিকারকরা বলছেন, অন্যান্য বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি হওয়ায় দাম কমে গেছে। সেক্ষেত্রে হিলি দিয়ে যেসব কাঁচামরিচ প্রবেশ করবে সেগুলোর সরকারি শুল্ক, গাড়ি ভাড়া ও বন্দর চার্জ যোগ করলে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়বে ২০০-২২০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকা কেজি। ফলে লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ১০ মাস বন্ধ থাকার পর হিলি বন্দর দিয়ে গত ২৬ জুন ২৭ মেট্রিক টন কাঁচা মরিচ আমদানি করা হয়। ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ঈদুল আজহা উপলক্ষে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ ছিল। সোমবার ৩ জুলাই এ বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানির কথা থাকলেও তা হয়নি।
হিলি স্থলবন্দর খুচরা বাজারে বর্তমানে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ১৭০-১৯০ টাকা। এ সব কাঁচামরিচ হাকিমপুর, বিরামপুর, জয়পুরহাটসহ আশেপাশের এলাকা থেকে আসছে। অথচ গত ৩ দিন আগেও এখানে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি।
হিলি বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, ‘আমি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা থেকে ১৯০ টাকা কেজি কাঁচামরিচ কিনেছি। তা ২০০ টাকা করে বিক্রি করছি। এসব কাঁচা মরিচ জয়পুরহাট, বগুড়া, বিরামপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছি।
হিলি স্থলবন্দরের পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাপ জানান, ঈদের ছুটি শেষে সোমবার থেকে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। তবে ভারতে থেকে বন্দর দিয়ে কোনো কাঁচা মরিচের ট্রাক প্রবেশ করেনি।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক হোসেন জানান, দেশের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম সহনশীল রাখতে সরকার গত ২৫ জুন ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দেয়। এরপরের দিন প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি পায় এবং ৫টি ট্রাকে করে ২৭ টন ১৬৬ কেজি কাঁচা মরিচ প্রবেশ করে।
তিনি আরও বলেন, ভারতেও কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। ফলে এই বন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি করা হলে সরকারি শুল্ক, গাড়ি ভাড়া ও বন্দরের চার্জসহ প্রতি কেজির দাম পড়ছে ২০০-২২০ টাকা। সেই হিসেবে দেশে কাঁচা মরিচের দাম কম। এতে লোকসানের আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য এই বন্দর দিয়ে আমদানিকারকরা কাঁচা মরিচ আনছে না।