সাড়ে ২৯ কোটি টাকার ৪ চিকিৎসাযন্ত্র নষ্ট

0
130
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
  • চমেক হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২০টি এমআরআই হতো। তিন–চার হাজার টাকা ব্যয়ে এমআরআই করা যেত।
  • ক্যানসার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ব্র্যাকিথেরাপি যন্ত্রটি নষ্ট।

    চট্টগ্রাম নগরের বড় দুটি সরকারি হাসপাতালে সাড়ে ২৯ কোটি টাকা দামের গুরুত্বপূর্ণ চারটি চিকিৎসাযন্ত্র নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এক থেকে চার বছর ধরে যন্ত্রগুলো নষ্ট। এগুলো মেরামতের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চিঠি চালাচালি হচ্ছে; কিন্তু প্রতিটি যন্ত্রের নির্ধারিত রক্ষণাবেক্ষণ (ওয়ারেন্টি) সময় পেরিয়ে যাওয়া ও বকেয়া জটিলতায় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিনা মূল্যে এসব মেরামত করছে না।

    আবার মেরামত খরচের বরাদ্দও পাওয়া যায়নি মন্ত্রণালয় থেকে। তাই যন্ত্রগুলো আর ঠিক করা হয়নি। এতে বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা গরিব রোগীরা। তাঁদের বাড়তি দামে বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে পরীক্ষা করাতে হচ্ছে।

    সরকারি হাসপাতাল দুটি হচ্ছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল। এর মধ্যে ২ হাজার ২০০ শয্যার চমেক হাসপাতাল চট্টগ্রাম ছাড়াও আশপাশের জেলার মানুষদেরও চিকিৎসাসেবার ভরসার জায়গা। চিকিৎসা নিতে আসা ব্যক্তিদের অধিকাংশ স্বল্প ও মধ্যম আয়ের। এখানে অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগ মিলে প্রতিদিন রোগী থাকে সাড়ে আট হাজারের বেশি। অন্যদিকে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে প্রতিদিন সেবা নেন ৫০০ রোগী।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রোগীদের বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য যেতে হচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।
    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল
    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল

    নষ্ট হয়ে পড়ে থাকা যন্ত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে ১৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা মূল্যের দুটি এমআরআই (ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং), ক্যানসার চিকিৎসায় অপরিহার্য সাড়ে ৬ কোটি টাকা দামের ব্র্যাকিথেরাপি যন্ত্র এবং ৩ কোটি ১৭ লাখ টাকার হৃদ্‌রোগীদের রক্তনালিতে ব্লক শনাক্তকারী ও স্টেন্ট লাগানোর জন্য ব্যবহৃত ক্যাথল্যাব। গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রগুলোর মধ্যে তিনটি চমেক হাসপাতালের। আর একটি এমআরআই যন্ত্র জেনারেল হাসপাতালের।

    জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, নষ্ট হয়ে যাওয়া চিকিৎসাযন্ত্রগুলো মেরামত করাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছেন। এগুলো নষ্ট থাকায় সেবা ব্যাহত হচ্ছে। এ ছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম সচল রাখতে একটি করে নতুন এমআরআই ও ক্যাথল্যাবের জন্য বরাদ্দের অনুরোধ জানিয়েছেন।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উচ্চ প্রযুক্তির চিকিৎসা যন্ত্রপাতি সার্বক্ষণিক চালু রাখার জন্য ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে একটি নির্দেশিকা (গাইডলাইন বা সিএমসি) তৈরি করে। তবে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এই নির্দেশিকা মানতে রাজি হচ্ছে না সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। নির্দেশিকা অনুযায়ী সরবরাহের পর প্রথম বছরে যন্ত্রের মূল্যের সাড়ে ৬ শতাংশ হারে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় ধরা হয়। সেই হিসাবে এমআরআই যন্ত্রের জন্য প্রথম বছরে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় দাঁড়ায় ৬৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা। প্রতিষ্ঠানটি চমেক হাসপাতালের এমআরআই যন্ত্রের ত্রুটি সারাতে সাড়ে ৯৩ লাখ টাকা দাবি করেছে।

    ৪ বছরেই নষ্ট এমআরআই যন্ত্র

    চমেক হাসপাতালের জন্য এমআরআই যন্ত্রটি কেনা হয়েছিল ২০১৭ সালের ১৬ আগস্ট। ঢাকার মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেড নামের এক প্রতিষ্ঠান ৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকায় এই যন্ত্র সরবরাহ করে। ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী তিন বছরের ওয়ারেন্টি শেষ হয় ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট। তিন বছর পার হওয়ার পর ২০২০ সালের শেষের দিকে একবার যন্ত্রটি বিকল হয়েছিল। পরে চালু করা গেলেও ২০২১ সালের মে মাসে একেবারে অকার্যকর হয়ে পড়ে।

    এরপর থেকে মেরামতের জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে বারবার যোগাযোগ রক্ষা করে আসছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ পর্যন্ত এসব দপ্তরে অন্তত ২০ বার চিঠি লিখেছে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি।

    জানতে চাইলে সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক পংকজ কুমার পাল  বলেন, চমেক হাসপাতালের এমআরআই যন্ত্রটি মেরামতের জন্য কাগজপত্র আদান প্রদান চলছে। মন্ত্রণালয়ে এখন তা সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, সমন্বয়হীনতার কারণে মেরামতপ্রক্রিয়া দেরি হচ্ছে। বেসরকারি হাসপাতালে এই সমন্বয়ের অভাব থাকে না।

    চিকিৎসা যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োজিত বিভাগ নিমিউ-এর প্রধান টেকনিক্যাল ব্যবস্থাপক জয়ন্ত কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এমআরআই যন্ত্রের বিষয়ে সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সিএমসি (রক্ষণাবেক্ষণ গাইডলাইন) হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু সঠিক সময়ে তা না হওয়ার কারণে মেরামতে বিলম্ব হচ্ছে। এখন সম্ভবত তা মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। হাইটেক (উচ্চপ্রযুক্তির) যন্ত্রপাতিগুলোর ক্ষেত্রে সিএমসি করার বিধান রয়েছে। আমরা শুধু মেরামতে কত টাকা খরচ হতে পারে, তা নির্ধারণ করে দিয়ে থাকি।’

    চমেক হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২০টি এমআরআই হতো। তিন থেকে চার হাজার টাকা ব্যয়ে এখানে এমআরআই করা যেত। বেসরকারি রোগনির্ণয় কেন্দ্রে তা করতে ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ পড়ে।

    সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, কার্ডিয়াক সার্জারি নতুন ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে এমআরআই মেশিনটি বসানো হয়। কক্ষটি তালাবদ্ধ রয়েছে।

    গত ২১ মে মেরুদণ্ডের ব্যথা নিয়ে চমেক হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগে ভর্তি হন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার কৃষক নুরুল হুদা। চিকিৎসকেরা নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পাশাপাশি এমআরআই (ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং) করার পরামর্শ দেন । কিন্তু হাসপাতালের এমআরআই যন্ত্র নষ্ট। তাই বাধ্য হয়ে হাসপাতালের বাইরের একটি ল্যাব থেকে তাঁকে সাত হাজার টাকায় এমআরআই করাতে হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ । অত টাকা কই পাব? কিন্তু টেস্ট তো করাতে হবে। তাই ধারকর্জ করেছি।’

    চমেক হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সুভাষ মজুমদার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এমআরআই বন্ধ থাকায় কম টাকায় সরকারি সেবা থেকে রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

    চমেক হাসপাতাল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে নগরের আন্দরকিল্লায় ২৫০ শয্যার চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল অবস্থিত। সেখানে ২০১৫ সালে আনা একটি এমআরআই যন্ত্র বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে চার বছর ধরে। ঢাকার বেঙ্গল সায়েন্টিফিক নামের একটি প্রতিষ্ঠান ৯ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকায় যন্ত্রটি সরবরাহ করে। যদিও এটার দাম আরও কম দাবি করে দুদকে একটি মামলা হয়।

    জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেখ ফজলে রাব্বী বলেন, ২০১৯ সালে এমআরআই যন্ত্রটি নষ্ট হয়ে যায়। সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মামলার কারণে এটি মেরামতে জটিলতা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।

    দুই সরকারি হাসপাতালের বাইরে চট্টগ্রামে অন্তত ১১টি বেসরকারি হাসপাতাল ও রোগনির্ণয় কেন্দ্রে এমআরআই যন্ত্র রয়েছে। তাদের এমআরআই যন্ত্রগুলো কেনার সময় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তিও থাকে।

    পপুলার ডায়গনস্টিক লিমিটেড চট্টগ্রামে দুটি এমআরআই যন্ত্র রয়েছে। একটির বয়স ১০ বছর, অন্যটি গত বছর আনা হয়। প্রতিষ্ঠানটির সহকারী ব্যবস্থাপক উজ্জ্বল বড়ুয়া বলেন, সরবারাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তাদের রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি থাকে। তিন-চার বছরের ওয়ারেন্টি সময়ে নষ্ট হলে বিনা মূল্যে সেবা দেয়। ওয়ারেন্টি সময়ের বাইরে হলে টাকা দিয়ে মেরামত করা লাগে।

    ক্যানসারের চিকিৎসা ব্যাহত

    চমেক হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালে ব্র্যাকিথেরাপি যন্ত্রটি বসানো হয়। গত বছরের জুনে মাসে সেটি বিকল হয়ে যায়। জরায়ুসহ কয়েকটি ক্যানসারের জন্য ব্র্যাকিথেরাপি দরকার হয়।

    বর্তমানে ঢাকা ছাড়া আরও কোথাও এই ব্র্যাকিথেরাপি দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। তাই চট্টগ্রাম ও পাশের জেলার রোগীদের এখন ঢাকায় ছুটতে হচ্ছে। এতে তাঁদের খরচ ও পরিশ্রম দুটিই বেড়েছে। ঢাকায় বেসরকারি পর্যায়ে এই সেবা নিতে খরচ পড়ে প্রতি সেশনে প্রায় পাঁচ হাজার টাকা। অথচ সরকারি পর্যায়ে এই খরচ মাত্র দেড় হাজার টাকা।

    গুরুত্বপূর্ণ এই যন্ত্র অচল থাকায় বিপাকে পড়েছেন ফেনীর পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়সের নারী আলেয়া বেগম। ২৪ মে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। তিনি বছর দুয়েক ধরে জরায়ু ক্যানসারে আক্রান্ত। চমেক হাসপাতালের রেডিও থেরাপি ও অনকোলজি বিভাগে এপ্রিল মাসে তাঁর রেডিও থেরাপি সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসকেরা এখন তাঁকে ব্র্যাকিথেরাপি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু হাসপাতালের ব্র্যাকিথেরাপি যন্ত্রটি নষ্ট থাকায় তাঁকে ঢাকায় যেতে হয়েছে।

    চমেক হাসপাতালের রেডিও থেরাপি বিভাগের বহির্বিভাগে গত বছর নতুন–পুরোনো মিলে প্রায় ১৮ হাজার রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার মধ্যে ক্যানসার আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা সাড়ে ছয় হাজার। এর মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ রোগী জরায়ুমুখের ক্যানসারে আক্রান্ত। তাঁদের কোনো না কোনো সময়ে ব্র্যাকিথেরাপি নিতে হয়।

    জানা গেছে, একই সঙ্গে দেশের তিন হাসপাতালের জন্য তিনটি ব্র্যাকিথেরাপি যন্ত্র কেনা বাবদ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কিছু টাকা বকেয়া রয়েছে। এ কারণে তারা চমেকের ব্র্যাকিথেরাপি যন্ত্র মেরামতে রাজি হচ্ছে না। রেডিওথেরাপি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক সাজ্জাদ মোহাম্মদ ইউসুফ  বলেন, সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কিছু জটিলতায় ব্র্যাকিথেরাপি যন্ত্র মেরামতের কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।

    অচল যন্ত্রে বাড়ছে অপেক্ষা

    চমেক হাসপাতালে হার্টের এনজিওগ্রাম, রিং পরানো ও পেসমেকার স্থাপনের একটি ক্যাথল্যাব ( যন্ত্র) দুই বছর ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে। বাকি একটি ক্যাথল্যাব চালু থাকলেও এতে এনজিওগ্রাম ও এনজিওপ্লাস্টি করানোর জন্য রোগীদের এক থেকে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কারণ, চমেক হাসপাতালের হৃদ্‌রোগ বিভাগে রোগী থাকেন প্রতিদিন গড়ে ৩০০ জন। তাঁদের মধ্যে ৫০ শতাংশের এ ধরনের সেবা প্রয়োজন হয়।

    হাসপাতালে সচল থাকা একটি ক্যাথল্যাব দিয়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ রোগীকে ব্লক শনাক্তকরণ এনজিওগ্রাম, স্টেন্টিং (রিং পরানো) ও পেসমেকার স্থাপনের সেবা দেওয়া হচ্ছে। স্টেন্টিংয়ের জন্য সরকার নির্ধারিত দাম ৭৬ হাজার টাকায় রিং পাওয়া যায়। কিন্তু এর বাইরে বেসরকারি হাসপাতালে স্টেন্টিং করাতে একটি ব্লকের জন্য এক থেকে দেড় লাখ টাকা বাড়তি খরচ পড়ে। এ ছাড়া এনজিওগ্রামের জন্য মেডিকেলে যেখানে ৮ হাজার টাকা খরচ পড়ে, বেসরকারি হাসপাতালে তা ২০ হাজার টাকা লাগে।

    একটি ক্যাথল্যাব নষ্ট থাকায় সেবা নিতে রোগীদের তিন সপ্তাহ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় বলে জানিয়েছেন হৃদ্‌রোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আশীষ দে। হাসাপাতাল সূত্র জানায় নষ্ট যন্ত্রটি মেরামতে এক কোটি টাকা প্রয়োজন। এই বরাদ্দ এখনো পাওয়া যায়নি।

    এসব গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র মেরামত না হওয়ার জন্য সরকারি হাসপাতালকে কেন্দ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকাকে দায়ী করেন জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এসব যন্ত্রের জন্য গরিব রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাঁদের সামর্থ্য নেই বেশি খরচের বেসরকারি হাসপাতালে এই চিকিৎসাসেবা নেওয়ার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে এসব ক্ষেত্রে নিজেরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দিলে যন্ত্রগুলো অনেক আগেই সচল হয়ে যেত।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.