ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে নয়জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া বিমান হামলায় বহু মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সেখানকার বাসিন্দা ও কর্মকর্তারা। খবর- আল-জাজিরা
জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত আটজনের নাম ও বয়সের তালিকা প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
নিহতরা হলেন- নুর আল-দিন হুসাম মারশউদ (১৬), মাজদি আররাভি (১৭), আলী হানি আল-গৌল (১৭), হুসাম মোহাম্মদ আবু থিবা (১৮), আওস হানি হনউন (১৯), সামীহ ফিরাস আবু আল-ওয়াফা (২০), আহমদ মোহাম্মদ আমের (২১) এবং মোহাম্মদ মুহান্নাদ আল-শামি (২৩)।
সোমবার ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত নবম ফিলিস্তিনি ছিলেন ২১ বছর বয়সী মোহাম্মদ ইমাদ হাসানিন। রামাল্লা শহরের উত্তর দিকের প্রবেশপথে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
জেনিন ক্যাম্পের বাসিন্দা বলেছেন, শিশুরা ভয়ে কাঁপছে ও কাঁদছে। তারা বলছেন, সোমবার সকালে কমপক্ষে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। অনেক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে এবং ধ্বংসস্তূপ থেকে এখনও ধোঁয়া উড়ছে।
ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্টের পরিচালক মাহমুদ আল-সাদী বলেন, জেনিনে বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। মনে হচ্ছে ভূপৃষ্ঠে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। অনেক ঘরবাড়ি বোমা হামলার শিকার হয়েছে এবং পুরো এলাকা ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছে, ইসরায়েলি হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন। তাদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, তারা ‘জেনিন এলাকায় সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে’ হামলা চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনি ওই ক্যাম্পটিকে ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটি’ দাবি করে তারা বলেছে, ‘সন্ত্রাসীরা আস্তানা হিসাবে জেনিন ক্যাম্প ব্যবহার করে বেসামরিক লোকদের ক্ষতি করার চেষ্টা করলে আমরা নিষ্ক্রিয় থাকব না।’