পাটখেতে নিড়ানি দিচ্ছিলেন কৃষক জাহিদ প্রামাণিক (৩০)। হঠাৎ তাঁর ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে কিছু একটা কামড় দেয়। দেখতে পান ছোট্ট একটি কালো রঙের সাপ। সাপটিকে মেরে ফেলেন তিনি। এরপর চলে যান স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাপটিকে বিষধর রাসেল ভাইপার বলে শনাক্ত করেন। সেখান থেকে তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর চরপাড়া গ্রামের মাঠে আজ সোমবার সকাল আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। চরপাড়া মাঠ থেকে পদ্মা নদীর দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। কৃষক জাহিদ প্রামাণিক ওই এলাকার মাদু প্রামাণিকের ছেলে। তিনি পেশায় কৃষক। তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
জানতে চাইলে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, ‘রাসেল ভাইপার সাপটি খুবই ছোট। সাপটির পেট বেশ ফোলা। ধারণা করা হচ্ছে, ছোবল দেওয়ার আগে সাপটি কিছু খেয়েছিল। এ জন্য হয়তো বিষ নাও থাকতে পারে। রোগীকে ভ্যাকসিন (অ্যান্টি ভেনম) দেওয়া হয়েছে।’
জাহিদ প্রামাণিকের বাড়ি থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের দূরত্ব ৪৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার। পাংশা থেকে তিনি বাসে করে কুষ্টিয়া আসেন। বেলা ১১টার তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। এ সময় তাঁর সঙ্গে পলিথিনের ভেতর মরা সাপটি ছিল।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাহিদ প্রামাণিক বলেন, ‘সাপ মাইরিফেলালাম। লোগের (আঙুল) ভিতর ঝিলঝিল করতিছিল। তারপর সাপ মাইরি নিই পাংশা। সিখান থি কুষ্টিয়া দিই পাঠাইলো। বাসে করি চইলি আলাম।’