চোট পাওয়ার পরেই শঙ্কা জেগেছিল। শেষ পর্যন্ত শঙ্কাটাই সত্যি হলো। এবারের অ্যাশেজ থেকে ছিটকেই গেলেন নায়ান লায়ন। অস্ট্রেলিয়ার ৩৫ বছর বয়সী স্পিনারকে হেডিংলি, ম্যানচেস্টার এবং ওভালে শেষ ৩ টেস্টে দর্শক হয়ে থাকতে হবে। আজ নিজেদের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
এজবাস্টনের পর লর্ডস টেস্ট জিতে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে লায়নের অনুপস্থিতি বড় ধাক্কা হয়েই এল সফরকারীদের জন্য। ৯ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতেও দারুণ অবদান রাখছিলেন লায়ন। এজবাস্টনে নবম উইকেটে তাঁর সঙ্গেই ৫৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়াকে জিতিয়েছেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
লায়নের জায়গায় পরের টেস্টের একাদশে ঢুকতে পারেন টড মার্ফি। এ ছাড়া কাল লর্ডস টেস্টের শেষ দিনে লায়নের পরিবর্তে ফিল্ডিং করা ম্যাট রেনশকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ স্কোয়াডটা তাই ১৮ থেকে নেমে এল ১৬ জনে। ফেব্রুয়ারিতে ভারত সফরে টেস্ট অভিষেক হয়েছে অফ স্পিনার মার্ফির। খেলেছেন বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির সব ম্যাচ। ৪ টেস্টে ২৫.২১ গড়ে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। এর মধ্যে নাগপুরে এক ইনিংসে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন।
এবারের অ্যাশেজের লর্ডস টেস্ট নাথান লায়নের জন্য ছিল মাইলফলকের। টেস্ট ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে টানা ১০০তম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন লর্ডসেই। কিন্তু মাইলফলক স্পর্শ করা ম্যাচই লায়নের পথচলায় বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে। টেস্টের দ্বিতীয় দিন বাউন্ডারির কাছে ফিল্ডিংয়ের সময় বেন ডাকেটের একটি শট আটকাতে গিয়ে পায়ের মাংসপেশিতে টান লাগে লায়নের।
এরপর অস্ট্রেলিয়া দলের ফিজিওর কাঁধে ভর দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়েন। তৃতীয় দিন মাঠে আসেন ক্রাচে ভর দিয়ে। তখনই ধারণা করা গিয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ান স্পিনারের এবারের অ্যাশেজ বুঝি শেষ। তবে অবাক করে দিয়ে পরশু টেস্টের চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করতে নামেন লায়ন। তাঁর সঙ্গে শেষ উইকেটে জুটি বাঁধেন মিচেল স্টার্ক। যোগ করেন মূল্যবান ১৫ রান। যা ক্রিকেটবিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে।