শাকিব খান। জনপ্রিয় অভিনেতা। ঈদুল আজহায় তাঁর অভিনীত ‘প্রিয়তমা’ দেশের ১০৭টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাটিতে প্রশংসিত হচ্ছেন শাকিব খান। পুরো বাংলাদেশেই টিকিটের জন্য হাহাকার তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে ৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি। ‘প্রিয়তমা’ ও নানা বিষয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে…
হলে হলে ‘প্রিয়তমা’ ছবির জয়জয়কার। ক্যারিয়ারের দুই যুগে এই সাফল্য কীভাবে নিচ্ছেন?
সাফল্য বরাবরই আনন্দ দেয়। ভালো লাগছে দর্শকদের আরও একটি ভালো সিনেমা উপহার দিতে পেরে। একজীবনে সিনেমার বাইরে, সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির বাইরে আর তো কিছুই করিনি। সেই সিনেমার আলোচনা যখন চারদিকে হয়; মানুষের মুখে মুখে সিনেমা নিয়ে প্রশংসা– এর চেয়ে ভালো লাগার তো আর কিছুই হতে পারে না। দর্শকের এই ভালো লাগা এনজয় করছি।
প্রিয়তমাকে দর্শক এতটা গ্রহণ করবে– এটা কি ভাবনায় ছিল?
ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দর্শকদের ভালোবাসা আমি পেয়ে আসছি। এখনও পাচ্ছি। তাঁদের এই ভালোবাসাই আমার এগিয়ে যাওয়া ও বেঁচে থাকার শক্তি। প্রিয়তমার গল্প যে তাঁদের ভালোবাসায় সিক্ত হবে– এটা আমাদের প্রত্যাশায় ছিল। সেই প্রত্যাশা থেকেই তো পরিচালক হিমেল আশরাফ ও আমাদের প্রিয়তমা টিম প্রায় চার বছর ধরে সিনেমাটির গল্প লালন করে আসছি। ফাইনালি দর্শকরা প্রিয়তমা গ্রহণ করেছে।
অনেকেই বলছেন, প্রিয়তমা তাড়াহুড়ো করে নির্মাণ করা হয়েছে। সময় দিলে আরও দারুণ কিছু হতো…
দেখুন, ভালোর কিন্তু শেষ নেই। হতে পারে, আরও সময় দিলে আরও ভালো হতো। এটা কিন্তু সব ছবির বেলাতেই বলা যায়। আমাদের যেসব ছবি সুপার ডুপার বাম্পার হিট করেছে, সেসব ছবির বেলাতেও অনেকে এ কথা বলেন। তাঁদের বলাকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু সবকিছুরই তো একটা সময় থাকে। সেই সময়ের বাইরে আমরা খুব কমই হাঁটতে পারি। আর প্রিয়তমার কাজ যাঁরা বলছেন দ্রুত হয়েছে, তাঁদের বলব– এটা কিন্তু দ্রুত হয়নি। তিন বছর আগে থেকেই প্রিয়তমার প্রস্তুতি শুরু। সব প্রপার গুছিয়ে নিয়েই হিমেল মাঠে নেমেছে। শুধু শুটিং আমরা টানা করেছি। বাকি সব কাজ কিন্তু দীর্ঘ দিনের প্রস্তুতিরই ফল।
অভিযোগ উঠছে, সিনেপ্লেক্সে প্রিয়তমা সিন্ডিকেটের শিকার হচ্ছে। এটা নিয়ে আপনি কী বলবেন?
খবরে দেখলাম, সিঙ্গেল স্ক্রিনে সিনেমাটির দর্শক টিকিট পাচ্ছে না। আর সিনেপ্লেক্সেও দর্শকরা টিকিট না পেয়ে সিনেমা না দেখেই চলে যাচ্ছে। এমনটি হলে সিনেপ্লেক্স তো শো বাড়িয়ে দিলেই পারে। কেন বাড়াচ্ছে না, সেটা আমি জানি না। তবে সিন্ডিকেট বা যা-ই বলেন, ভালো ছবিকে কোনোভাবেই আটকে রাখা যায় না। ‘প্রিয়তমা’ একটি ভালো ছবি, ভালো গল্পের ছবি। পারিবারিক ছবি। সপরিবারে দেখার মতো ছবি।
আপনার পরিবার কি ‘প্রিয়তমা’ দেখেছে?
দেখার পরিকল্পনা চলছে। আমার ভাইবোন ও তাদের সন্তানসহ ২০-৩০ জনের একটা দল প্রিয়তমা দেখার পরিকল্পনা করছে। অগ্রিম টিকিটও কেটে ফেলেছে। আজ বা আগামীকালের মধ্যেই তারা প্রিয়তমা দেখতে হলে যাবে।
‘প্রিয়তমা’ আপনি কবে দেখবেন?
আগামী ৭ জুলাই প্রিয়তমা যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাচ্ছে। সিনেমাটি মুক্তি উপলক্ষে আমিও সেখানে যাচ্ছি। সেখানেই হয়তো প্রিয়তমা দেখব। তবে এবার গিয়ে আর বেশিদিন থাকব না। সপ্তাহখানেক পরই দেশে ফিরব। নতুন সিনেমা নিয়ে পরিকল্পনায় নামব।
ঈদে জয় ও বীরের সঙ্গে দেখা হয়নি?
হয়েছে। দু’জনই বড় হয়ে যাচ্ছে। যত ব্যস্তই থাকি, ওদের জন্য আলাদা করে শিডিউল তো রাখতেই হয়। ঈদে ওরা ওদের মতো করে বাসায় এসেছিল। বেশ উপভোগ্য সময় কাটিয়েছি।