মেগানকে নিয়ে ‘দ্য সান’–এর নিবন্ধ অশ্লীল: আইপিএসও

0
177
ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেল, ফাইল ছবি: রয়টার্স

প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেলকে নিয়ে টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব জেরেমি ক্লার্কসনের লেখা একটি নিবন্ধকে অশ্লীল বলে রায় দিয়েছে ব্রিটেনের সংবাদপত্র ও সাময়িকী নিয়ন্ত্রক সংস্থা। গতকাল শুক্রবার দ্য ইনডিপেনডেন্ট প্রেস স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন (আইপিএসও) এ রায় দিয়েছে।

গত ডিসেম্বরে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সানে মেগান মার্কেলকে নিয়ে জেরেমি ক্লার্কসনের লেখা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি লিখেছেন, তাঁর মনে হচ্ছে, প্রিন্স হ্যারির স্ত্রী মেগান একদিন রাস্তায় নগ্ন হয়ে প্যারেড করতে বাধ্য হবেন। এ বক্তব্যকেই অশ্লীল বক্তব্য বলে রুল জারি করেছে আইপিএসও।

সংবাদপত্র ও সাময়িকী নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইপিএসও রুলে বলেছে, ওই নিবন্ধ মেগানের জন্য মানহানিকর ও পক্ষপাতমূলক। এতে সম্পাদকীয় নীতির লঙ্ঘন করা হয়েছে।

২০২২ সালে ডিসেম্বরে দ্য সান–এর মতামত অংশে জেরেমি ক্লার্কসনের লেখা নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, তিনি ডাচেস অব সাসেক্স মেগানকে আগাগোড়া ঘৃণা করেন। ওই সময় পাঠক, রাজনীতিক এমনকি ক্লার্কসনের প্রতিষ্ঠান–কর্তৃপক্ষ তাঁর এই লেখার নিন্দা জানায়। ক্লার্কসনের নিজের মেয়েও এই লেখার নিন্দা জানিয়েছিলেন। পরে দ্য সান ওই লেখাটা প্রত্যাহার করে নেয়।

জেরেমি ক্লার্কসনের নিবন্ধটির প্রতিবাদে আইপিএসওর কাছে সাধারণ মানুষ অভিযোগ জানাতে থাকে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ২৫ হাজারের বেশি মানুষ ওই নিবন্ধটি নিয়ে তাঁদের কাছে অভিযোগ জমা দিয়েছে।

এ ঘটনার পর অবশ্য জেরেমি ক্লার্কসন এবং মিডিয়া মোগল ও ধনকুবের রুপার্ট মারডকের নিউজ করপোরেশনের প্রতিষ্ঠান দ্য সান ক্ষমা চেয়েছে। তবে নারীদের দুটি দাতব্য সংস্থা দ্য ফসেট সোসাইটি ও দ্য ডব্লিউআইএলডিই ফাউন্ডেশনের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে আইপিএসও।

আইপিএসও দ্য সানকে তাদের বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের সারসংক্ষেপ প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশ এবং অনলাইনে সংস্করণের মূল পেজে প্রদর্শনের নির্দেশ দেয়। তদন্তের এই সারসংক্ষেপ আইপিএসও লিখে দেয়।

আইপিএসও চেয়ার এডওয়ার্ড ফকস বলেন, ‘আমরা দেখতে পেয়েছি, এই নিবন্ধে কলাম লেখকের বক্তব্য ডাচেস অব সাসেক্সের প্রতি অবমাননাকর ও মানহানিকর ছিল।’

স্ত্রী মেগান মার্কেলের সঙ্গে প্রিন্স হ্যারি, ফাইল ছবি: রয়টার্স

হ্যারি ও মেগান দম্পতি ২০২০ সালে রাজপরিবার ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যান। তখন থেকেই বলা যায় ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলো তাঁদের বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। হ্যারি-মেগান দম্পতিও এই পত্রিকাগুলোর ওপর চরম বিরক্ত।

এদিকে ২০১১ সালে ও এর আগে হ্যারির ফোন হ্যাক করার অভিযোগে ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ডেইলি মিরর, সানডে মিরর ও সানডে পিপলের প্রকাশনা সংস্থা এমজিএনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তিনি। এ মামলায় আদালতে সাক্ষ্যও দিয়েছেন তিনি। তবে এমজিএন বলছে, হ্যারির ফোন হ্যাক হয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই।

রয়টার্স

লন্ডন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.