চাইলেই আলিয়া ভাটের মতো ‘নো মেকআপ’ লুকে নিজেকে সাজাতে পারেন। আর সে জন্য সাম্প্রতিক সময়ে রূপবিশেষজ্ঞরা বাতলেছেন সহজ ৫টি ধাপ।
এ আবহাওয়ায় ট্রেন্ডি ও মিনিমাল মেকআপ করা বুদ্ধিমানের কাজ। এতে ত্বকে প্রাকৃতিক আমেজে স্নিগ্ধভাব ফুটে উঠবে। এ ক্ষেত্রে আলিয়া ভাটের মতো নো মেকআপ লুক অনুসরণ করতে পারেন খুব সহজে। তাঁকে প্রায়ই দেখা যায় এমন সাজে।
সাজসজ্জার দিক থেকে আলিয়া ভাট সব সময়ই অনন্য। আলিয়ার অভিনয়ের মতোই বিখ্যাত তাঁর ‘নো মেকআপ’ লুক। ছোট-বড় যেকোনো ইভেন্টে যে পোশাকই পরুন না কেন, এই মেকআপেই তাঁকে দেখা যায় বেশির ভাগ সময়। আলিয়া নো মেকআপ লুকের জন্য সামান্য কিছু পণ্য ব্যবহার করেন। সময়ও লাগে খুব কম। সবার আগে মনোযোগ দিতে হবে ত্বকের যত্নের ওপর। ত্বক ভালো থাকলে যেকোনো মেকআপ খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা যায়।
আলিয়ার নো মেকআপের পাঁচ ধাপ
ধাপ ১
মেকআপের আগে ত্বক প্রস্তুত করতে সবার আগে ত্বক ভালো একটি ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজিং মাস্ক লাগাতে পারেন। চাইলে মুলতানি মাটির মাস্ক দেওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের ভেতরে থাকা টক্সিন ও প্রদাহ কমে আসবে। পাশাপাশি মৃতকোষও উঠে আসবে, ত্বক দেখাবে সতেজ। মাস্ক পরিষ্কার করে হাইড্রেটিং সিরাম ও ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। আর সানস্ক্রিনের কথা ভুললে চলবে না।
ধাপ ২
যেকোনো মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করতে প্রাইমারের জুড়ি মেলা ভার। তাই বেজ মেকআপের আগে একটু প্রাইমার লাগিয়ে নিতে হবে। এরপর ব্যবহার করতে হবে ফাউন্ডেশন। এ ক্ষেত্রে বেছে নিন হালকা ফর্মুলার ফাউন্ডেশন। নিজের ত্বকের থেকে এক শেড উজ্জ্বল ফাউন্ডেশন লাগাতে হবে। তবে এখন বাজারে নো মেকআপ লুকের কথা মাথায় রেখেই আরও অনেক মেকআপ পণ্য এসেছে। এর ভেতর আছে টিনটেড ময়শ্চারাইজার। ফাউন্ডেশনের বদলে চাইলে এটি ব্যবহার করতে পারেন।
ধাপ ৩
এবার ব্লাশঅনের পালা। গালের দুই পাশে খুবই অল্প পরিমাণে ক্রিম বা লিকুইড ব্লাশ লাগাতে হবে। মভ, পিচ বা ডাস্টি পিংক ইত্যাদি শেড বেছে নেওয়া যায়। এভাবে ত্বকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফুটে উঠবে।
ধাপ ৪
চিক বোন বা গালের হাড় ও নাকের হাড়ে সামান্য পরিমাণ হাইলাইটার লাগাতে হবে।
ধাপ ৫
একদম শেষে ঠোঁট সাজাতে হবে। ঠোঁট আঁকতে পারেন পছন্দের রঙের লিপস্টিকে। অথবা ব্যবহার করতে পারেন এ সময়ের জনপ্রিয় লিপ টিন্ট বা স্টেইন।
ব্যস! এভাবেই মাত্র কয়েক মিনিটেই পেয়ে যেতে পারেন আলিয়ার মতো স্নিগ্ধ ‘নো মেকআপ’ লুক।