বেনাপোল বন্দর দিয়ে এক দিনেই ভারতে গেলেন পাঁচ হাজার মানুষ

0
144
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রীর চাপ বেড়েছে। শুক্রবার সকালে বেনাপোল আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে, ছবি: সংগৃহীত

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতগামী যাত্রীর চাপ বেড়েছে। আজ শুক্রবার পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ ভারতে গেছেন, যা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। যাত্রীরা বলছেন, বন্দর ব্যবহারের জন্য তাঁদের কাছ থেকে ‘পোর্ট ট্যাক্স’ নেওয়া হয়। কিন্তু তাঁরা তেমন কোনো সেবা পান না। শুক্রবার অনেকে দাঁড়ানোর জায়গাটুকুও পাননি।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটির চার দিনে মোট ১৬ হাজার মানুষ ভারতে গেছেন। এর মধ্যে ঈদের আগের দুই দিনে চার হাজার করে মোট আট হাজার, ঈদের দিনে তিন হাজার ও ঈদের পরদিন অর্থাৎ আজ শুক্রবার ৫ হাজার ৯০ যাত্রী ভারতে প্রবেশ করেছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী আছেন ৪ হাজার ৮০০ জন। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন যাত্রী প্রবেশের সংখ্যা তিন হাজারের মধ্যে থাকলেও ঈদের ছুটিতে সে চাপ অনেকটা বেড়ে গেছে।

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবীব বলেন, ঈদ বা পূজার ছুটিতে মানুষের ভ্রমণের সুযোগ বাড়ে। সে সুযোগ কাজে লাগাতে অনেকে ভারতে বেড়াতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া সামনে ট্রাভেল চার্জ বাড়ছে। এ জন্য হয়তো একটু বাড়তি চাপ হয়েছে।

শুক্রবার ভারতগামী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেনাপোল চেকপোস্টের আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। যাত্রীদের পাসপোর্টের আনুষ্ঠানিকতা সারতে পুলিশ, আনসার ও বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীদের রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।

যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে ঢাকা থেকে বাস ছেড়ে রাত তিনটার মধ্যে বেনাপোল বন্দরে পৌঁছে যায়। তখন বন্দরের আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের ফটক বন্ধ থাকে। তখন যাত্রীদের শৌচাগারে যাওয়ারও ব্যবস্থা থাকে না। বসার বা অপেক্ষা করার কোনো ছাউনি নেই। রাস্তার ওপরেই তাঁদের দাঁড়াতে হয়। ভোর ছয়টায় টার্মিনালের গেট খোলা হয়। এরপর বন্দরের চার্জ দিয়ে যাত্রীদের টার্মিনালে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। এতে মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আবদুল জলিল বলেন, যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের পাশে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। সেখানে যাত্রীদের সেবার জন্য নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।

মধ্যরাতে টার্মিনালে যাত্রী প্রবেশের বিষয়ে আবদুল জলিল বলেন, বন্দর ব্যবহারের চার্জ না নিয়ে তো কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া যায় না। তা ছাড়া ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শুরু হয় সকাল সাড়ে ছয়টায়। তারও আধা ঘণ্টা আগে টার্মিনালের গেট খুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া একই সঙ্গে ২ থেকে ৩ হাজার মানুষের টার্মিনালে দাঁড়ানোর মতো জায়গা তো নেই। তবে কীভাবে এই সংকট নিরসন করা যায়, সেটা ভেবে দেখা হচ্ছে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.