সাগরের তলদেশ থেকে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার

0
197
টাইটান

আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে বিস্ফোরণ হওয়া ডুবোযান টাইটানের কয়েকটি টুকরো রোবটের মাধ্যমে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। বিস্ফোরণের প্রায় ১০ দিন পর বুধবার প্রথম টাইটানের ধ্বংসাবশেষের ছবি প্রকাশ করা হয়।

প্রকাশিত ওই ছবিতে দেখা যায়, টাইটানের কয়েকটি ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে টাইটানের সামনের নাকের অংশ ও জানালা। এগুলো রিজোন আর্কটিক শিপ থেকে সেন্ট জোন্সের নিউফাউন্ডল্যান্ডে কানাডার কোস্ট গার্ড ঘাঁটিতে নামানো হচ্ছে। খবর দ্য ইনডিপেনডেন্টের

গত ১৮ জুন আটলান্টিক মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখতে ডুবোযান টাইটানে করে সাগরের তলদেশে যান চালকসহ পাঁচজন। সমুদ্রের তলদেশে কাছাকাছি পৌঁছানোর পর ‘ভয়ংকর বিস্ফোরণে’ ধ্বংস হয়ে যায় টাইটান। এতে পাঁচজনই মারা যান।

নিহতরা হলেন- স্টকশন রাশ, হ্যামিশ হার্ডিং (৫৮), শাহজাদা দাউদ (৪৮) ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ (১৯) ও পল-হেনরি নারজিওলেট (৭৭)। টাইটানের মালিকানা প্রতিষ্ঠান ওশানগেট এক্সপেডিশন্সের সিইও স্টকশন রাশ চালক হিসেবে পাঁচজনের মধ্যে ছিলেন। শাহজাদা দাউদ ব্রিটিশ-পাকিস্তানি ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। তার ছেলে শিক্ষার্থী। হ্যামিশ হার্ডিং ব্রিটিশ উড়োজাহাজ ব্যবসায়ী ও পল-হেনরি নারজিওলেট ফ্রান্সের নৌবাহিনীর সাবেক ডুবুরি।

সাধারণত সাগরের তলদেশে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের কাছে গিয়ে আবার ফিরে আসতে ডুবোজাহাজটির আট ঘণ্টার মতো সময় লাগে। গত ১৮ জুন  সাগরে ডুব দেওয়ার এক ঘণ্টা ৪৫ মিনিট পরে ছোট আকারের ওই ডুবোজাহাজটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপর টাইটানের অনুসন্ধানে সমুদ্রের বিশাল এলাকা জুড়ে অনুসন্ধান চলছিল। গত ২২ জুন মহাসাগরের তলদেশে টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের কাছে টাইটানের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় মার্কিন কোস্ট গার্ড।

প্রসঙ্গত, ১৯১২ সালে ইংল্যান্ডের নিউ সাউদাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে প্রথম যাত্রায় বিশাল আইসবার্গের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে গিয়েছিল তখনকার সবচেয়ে বড় যাত্রীবাহী জাহাজ টাইটানিক, প্রাণ গিয়েছিল দেড় হাজার মানুষের।

দুটুকরো হয়ে যাওয়া টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষটি রয়েছে আটলান্টিকের ৩ হাজার ৮০০ মিটার নিচে। ১৯৮৫ সালে ওই ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া যায়। আটলান্টিক মহাসাগরের এ এলাকাটি কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেইন্ট জোন্স থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.