পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ বাড়িতে ফিরছে। আজ বুধবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। লঞ্চ ও ফেরিঘাটে বৃষ্টিভেজা মানুষের ভিড়।
বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেই রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা লোকজন মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাট পার হয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন। এপাশে দৌলতদিয়া ঘাটে নেমে তাঁরা বিভিন্ন গন্তব্যে যাচ্ছেন। ফেরির পাশাপাশি প্রতিটি লঞ্চও যাত্রীতে ভরপুর রয়েছে। বৃষ্টির কারণে যাত্রাপথে এসব মানুষকে দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ায় পদ্মা নদী উত্তাল থাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে সময় লাগছে বেশি।
আজ বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দৌলতদিয়ার লঞ্চ ও ফেরিঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, লঞ্চ ও ফেরিতে যাত্রীর চাপ রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফেরিতেও যাত্রীদের ভিড় বেশি। অনেকে বৃষ্টিতে ভিজে গেছেন।
কুষ্টিয়ার খোকশা যাচ্ছিলেন আসলাম খন্দকার। তিনি সাভারে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী। লঞ্চ থেকে নামার পর আসলাম খন্দকার বলেন, ‘মঙ্গলবার শেষ কর্মদিবস ছিল। ঝামেলা এড়াতে রাতে রওনা হইনি। আজ সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে বৃষ্টিও বেড়েছে। উপায় না পেয়ে এর মধ্যে স্ত্রীকে নিয়ে রওনা হয়েছি।’
দৌলতদিয়া ঘাটে কর্তব্যরত বিআইডব্লিউটিএর ট্রাফিক পরিদর্শক আফতাব হোসেন বলেন, যে পরিমাণ যাত্রী হওয়ার কথা তার থেকে কম মনে হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে বেশির ভাগ যাত্রী লঞ্চের পরিবর্তে ফেরিতে নদী পাড়ি দিচ্ছেন। এরপর পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি লঞ্চে যাত্রী ভরপুর রয়েছে। বৃষ্টিতে যাত্রীদের বাড়তি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
আফতাব হোসেন আরও বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া, দৌলতদিয়া-আরিচা ও আরিচা-কাজীরহাট নৌপথে ছোট-বড় মিলিয়ে ২৫টি লঞ্চ চলাচল করছে। এর মধ্যে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ১৮টি লঞ্চ চলাচল করছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে লঞ্চ মালিকদের নির্দিষ্টসংখ্যক যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি ফেরিতে যানবাহনের চেয়ে যাত্রী সংখ্যা অনেক বেশি। গত সোমবার দুপুরের পর থেকে যাত্রীর চাপ পড়ছে। বিশেষ করে গতকাল মঙ্গলবার সারা দিন ফেরিতে ভরপুর যাত্রী পার হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক সালাহ উদ্দিন বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় ১৮টি ফেরি চলছে। পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরিতে যানবাহনের চেয়ে অধিকসংখ্যক যাত্রী পার হচ্ছে। বিপরীতে দৌলতদিয়া থেকে অল্পসংখ্যক গাড়ি নিয়ে ফেরি ছেড়ে যাচ্ছে। আজ বুধবার বিকেল থেকে হয় তো যাত্রী সংখ্যা কমে আসবে।