হন্ডুরাসের উত্তরাঞ্চলীয় দু’টি শহরে সহিংসতায় কমপক্ষে ২৪ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। আর এরপরই রোববার ওই দুই অঞ্চল চোলোমা ও সান পেড্রো সুলেতে কারফিউ জারি করেছে দেশটির সরকার।
সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হন্ডুরান সরকার দেশে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যে পৃথক হামলায় ঘটনায় রাতের আঁধারে ২০ জনেরও বেশি লোক নিহত হওয়ার পরে উত্তরাঞ্চলীয় দু’টি শহরে রোববার কারফিউ জারি করেছে।
শনিবার রাতে উত্তরাঞ্চলীয় শহর চোলোমার একটি বিলিয়ার্ডস হলে ভারী অস্ত্রধারীরা গুলিবর্ষণ করে। এতে ১৩ জন নিহত এবং আরও একজন গুরুতর আহত হয়। এছাড়া একইদিন শনিবার শিল্পনগরী সান পেড্রো সুলেসহ উত্তরাঞ্চলীয় ভ্যালে দে সুলা অঞ্চলজুড়ে পৃথক সহিংসতার ঘটনায় কমপক্ষে আরও ১১টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ প্রেস পারসন এডগার্দো বারাহোনা।
জানা যায়, ক্রমবর্ধমান এই সহিংসতার মধ্যে হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো আগামী ১৫ দিন চোলোমাতে রাত ৯টা থেকে ভোর ৪টার পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছেন। তার এই নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং সান পেড্রো সুলেতে কারফিউ কার্যকর হবে ৪ জুলাই থেকে।
হন্ডুরাসের প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো টুইটারে বলেছেন, ‘সহিংসতার ঘটনায় একাধিক অপারেশন, অভিযান, আটক এবং চেকপয়েন্ট স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে।’
দেশটির নিরাপত্তামন্ত্রী গুস্তাভো সানচেজ রোববার রাতে জানান, অপরাধী গ্যাংয়ের সদস্যদের সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করার জন্য কংগ্রেসে প্রস্তাব পাঠাবে সরকার।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, সুলা উপত্যকায় এক হাজার অতিরিক্ত পুলিশ ও সামরিক বাহিনী পাঠানো হচ্ছে। বস্তুত এই অঞ্চলেই চোলোমা এবং সান পেড্রো সুলে অবস্থিত।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহেই হন্ডুরাসের একটি নারী কারাগারের ভেতর দুই পক্ষের সহিংসতায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। কারাগারের ভেতর দুই গ্যাং গ্রুপের মধ্যে প্রথমে সংঘর্ষ বাঁধে। যার মধ্যে একটি গ্রুপ সেলের ভেতর আগুন ধরিয়ে দেয়। আর এতেই প্রাণহানির ওই ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর এক সপ্তাহ পার হতে না হতেই দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় দু’টি শহরে সহিংসতায় আবারও বহু সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি হলো।