আড়াই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিস্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ নতুন করে ৩৭ জনের নাম যুক্ত করা হয়েছে। সম্পূরক অভিযোগপত্রে, এই ৩৭ জনসহ মোট ৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে সিআইডি। ৫ জুলাই এটি সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের পেশকার সাইফুল ইসলাম মিঠু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২২ জুন মামলার তদন্তকারী সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান ৪৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে এ সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। এর আগের অভিযোগপত্রে বরকত, রুবেলসহ ১০ জন আসামি ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে ২ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামি বরকত, রুবেলসহ অন্যদের স্বীকারোক্তিতে যেসব আসামির নাম উঠে এসেছে, তাদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেছে সিআইডি। কার হিসাবে কত টাকা লেনদেন, আয়ের উৎস, কত টাকা কীভাবে অর্থপাচার করা হয়েছে, তা বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে অধিকতর অভিযোগপত্রে।
অভিযোগপত্রভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই খন্দকার মোহতেশাম বাবর, মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) সত্যজিৎ মুখার্জি, খন্দকার নাজমুল ইসলাম লেভী, আসিফুর রহমান, এ এইচ এম ফুয়াদ, ফাইয়াজ বিন ওয়াজেদ, কামরুল হাসান ডেভিড, মোহাম্মদ আলী, তরিকুল ইসলাম, নিশান মাহমুদ, বিল্লাল হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, অনিমেষ রায়, সামছুল আলম চৌধুরী, দীপক মজুমদার, শেখ মাহতাব আলী মেথু, সফিকুল ইসলাম, ফকির মো. বেলায়েত, গোলাম মোহাম্মদ নাসির, জামাল আহমেদ খান, বেলায়েত মোল্লা, আহসান হোসেন খান, অমিতাভ বোস, চৌধুরী মো. হাসান, জাফর ইকবাল, বরকতের স্ত্রী আফরোজা পারভীন, রুবেলের স্ত্রী সোহেলী ইমরুজ, সাহেব সরোয়ার, সাজ্জাদ হোসেন, স্বপন কুমার পাল, জাহিদ ব্যাপারী, খলিফা কামাল, নাফিজুল, রিয়াজ আহমদ, আনোয়ার হোসেন, মনিরুজ্জামান, মাহফুজুর রহমান, সুমন সাহা, আবদুল জলিল শেখ, রফিক মণ্ডল, আফজাল হোসেন খান, খন্দকার শাহিন আহমেদ ও আরিফুর রহমান (দোলন)।