পটুয়াখালী শহরের পুরোনো জেলাখানা এলাকার লেক থেকে জয়ন্ত সাহা (১৪) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাক ও গলায় অস্বাভাবিক চিহ্ন দেখে পরিবারের সন্দেহ, জয়ন্তকে হত্যা করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে জয়ন্তর লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর তার বাবা তাপস চন্দ্র সাহা এ ঘটনায় সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। জয়ন্ত সাহা পটুয়াখালী সরকারি জুবিলী উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
জয়ন্তর বাবা তাপস সাহা বলেন, গতকাল সকাল ১০টার দিকে খেলার জন্য তাঁর ছেলে পৌরসভা–সংলগ্ন লতিফ স্কুলমাঠের উদ্দেশে রওনা দেয়। বেলা আড়াইটার দিকে লোকমুখে তিনি খবর পান, বন্ধুদের সঙ্গে লেকে গোসল করতে গিয়ে জয়ন্ত পানিতে ডুবে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে জয়ন্তকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তাপস সাহা লিখিত অভিযোগে বলেন, তার ছেলে জয়ন্ত সাঁতার জানে এবং লেকের পানি তিন থেকে চার ফুট হতে পারে। কাজেই সে পানিতে ডুবে মরতে পারে না। গত ২৭ মে প্রাইভেট পড়ে বাসায় আসার পথে তার ছেলের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে আবার জয়ন্তর ওপর হামলা ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে। জয়ন্তর নাক ও গলায় কিছু অস্বাভাবিক চিহ্ন দেখা গেছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি লিখিত অভিযোগ করেন।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।’