রাশিয়ার ভাড়াটে হিসেবে ইউক্রেনে যুদ্ধরত বেসরকারি সামরিক বাহিনী ভাগনার গ্রুপ হঠাৎ বেকে বসেছে। ভাগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন জানিয়েছেন, তার বাহিনীর ওপর রুশ সামরিক বাহিনী হামলা চালিয়েছে এবং তিনি প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে ইউক্রেন যুদ্ধের পরিস্থিতি নতুন মোড় নিয়েছে।
ভাগনার বাহিনীর গতিপ্রকৃতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যেমন সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন। একই সঙ্গে বিশ্বজুড়ে সবার চোখ এখন মস্কোর দিকে। হোয়াইট হাউসও এ ঘটনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক উপসহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সিআইএ কর্মকর্তা মাইক মুলরয় বিবিসিকে বলেছেন, ‘ভাগনার প্রধান প্রিগোজিন প্রেসিডেন্ট পুতিনের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছেন।’
মাইক মুলরয় বলছেন, ‘পরিস্থিতি বলছে, ইউক্রেনে ধ্বংসাত্মক আক্রমণ চালাতে রাশিয়াকে ভাড়াটে বাহিনীর ওপর নির্ভর করতে হয়েছে। প্রিগোজিন এও স্বীকার করেছেন যে, এ হামলা উস্কানিমূলক ছিল না। আর রাশিয়ার জনগণকে শুরু থেকেই মিথ্যার মধ্যে রাখা হয়েছে।’
মাইক মুলরয় আরও বলেন, ‘ভাগনার বাহিনী যদি রাশিয়ায় পুতিনের নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সত্যিই হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারেন, তাহলে রাশিয়াকে তার আত্মসুরক্ষায় এবং ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ থেকে বাঁচতে সামরিক শক্তিমত্তা নিয়ে পুনরায় ভাবতে হবে।’
সিআইএ’র সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এমনকি এ যাত্রার অভ্যুত্থানচেষ্টা ব্যর্থ হলেও, এর মাধ্যমে পরিষ্কার হয়ে গেল যে ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে জড়িতরা জানে এই যুদ্ধ ভুল ছিল।’