রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নগরের ভেড়িপাড়ার মোড়ে কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সামনে রণক্ষেত্রের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। দুই প্রার্থীর সমর্থকেরা প্রতিপক্ষের নির্বাচন ক্যাম্পের চেয়ার ভাঙচুর করা করেন। প্রায় এক ঘণ্টা পর্যন্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। ভোটাররা ভয়ে পালিয়ে যান। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত।
এই দুই কাউন্সিলর প্রার্থী হচ্ছেন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও এবারের প্রার্থী রুহুল আমিন। তিনি ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করলেও কোনো পদে নেই। তাঁর প্রতিপক্ষ ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহী পিটিআই কেন্দ্রের পাশে আশরাফুল ইসলামের নির্বাচন ক্যাম্পের কে বা কারা হামলা করে চেয়ার ভাঙচুর করেন। এই অভিযোগে দুপুর ১২টার দিকে তাঁর সমর্থকেরা কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের দক্ষিণ পাশে রুহুল আমিনের একটি নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা করেন। উভয় পক্ষের মধ্যে মারপিট লেগে যায়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও চেলাকাঠ নিয়ে দুই প্রার্থীরা সমর্থকেরা পরস্পরের প্রতি ধাওয়া করেন।
ভেড়িপাড়া মোড়ের কেশবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জানান, তাঁর কেন্দ্রের বাইরের রাস্তায় সংঘর্ষ হয়েছে। কেন্দ্রে কোনো প্রভাব পড়েনি এবং এক মিনিটের জন্য ভোট বন্ধ হয়নি। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জন্য কোনো ভোটার নেই। একজন নারী ভোট দিতে এসেছেন, কিন্তু তিনি তাঁর ভোটার নম্বর জানেন না। সাধারণত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকেরা এই ভোটার নম্বরের স্লিপ দিয়ে থাকেন। তাঁদের পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বর্তমান কাউন্সিলর রুহুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর প্রতিপক্ষ প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম হেরে যাবেন বুঝতে পেরে চার-পাঁচ শ লোক নিয়ে তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। এই সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে তাঁর স্ত্রী আহত হয়েছেন।
অপর প্রার্থী আশরাফুল ইসলামকে মুঠোফোনে কল দেওয়া হলে তিনি ধরেননি। তাঁর ভাই মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রুহুল আমিনের লোকজন আমাদের ভোটারদের কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দিচ্ছিলেন। এর প্রতিবাদ করলে তাঁরা আমাদের দুটি নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করেছেন। পদ্মার বাঁধের ধারে আমাদের সমর্থকদের বাড়িতেও হামলা করা হয়েছে। একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলায় আমাদের পাঁচজন আহত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’