জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানির হত্যা মামলার ৯ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে দিয়েছেন আদালত। পুলিশের তরফ থেকে ৯ জনের জন্যই ৫ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হলেও জামালপুর জেলা আদালতের বিচারক চার আসামিকে চার দিন ও পাঁচ আসামিকে তিন দিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন।
এ ছাড়া প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবুসহ (৫০) চারজনকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বকশীগঞ্জ থানা থেকে ওই চারজনকে জেলা আদালতে পাঠানো হয়।
অন্য তিন আসামি হলেন রেজাউল করিম (২৬), মো. মনিরুজ্জামান ওরফে মনিরুল (৩৫) ও জাকিরুল ইসলাম (২৮)। চারজনের মধ্যে রেজাউল করিমকে বগুড়া থেকে এবং বাকি তিনজনকে পঞ্চগড় থেকে র্যাব গ্রেপ্তার করে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোহেল রানা আজ রোববার বেলা একটার দিকে বলেন, ‘প্রধান আসামিসহ চারজনকে নিয়ে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে আদালতে পৌঁছে যাব। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁদের সাত দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।’
এর আগে গতকাল শনিবার সাংবাদিক গোলাম রব্বানি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম, তাঁর ছেলেসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ২০ থেকে ২৫ জনকে।
সিসিটিভির ফুটেজ দেখে আটক ব্যক্তিদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে ৯ জনকে আদালতে পাঠায়। আজ দুপুরে তাঁদের রিমান্ড শুনানিতে চার আসামিকে চার দিন ও পাঁচ আসামিকে তিন দিন করে রিমান্ড দেওয়া হয়।
গত বুধবার রাত ১০টার দিকে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়িতে ফিরছিলেন সাংবাদিক গোলাম রব্বানি। পথে বকশীগঞ্জের পাটহাটি এলাকায় তাঁর ওপর হামলা করে একদল সন্ত্রাসী।
এ সময় তাঁকে টেনেহিঁচড়ে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি ও ব্যাপক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে অচেতন হয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা তাঁকে ফেলে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়।