আগে মানুষ মনে করত একটি বিশেষ বাহিনী ঘুষ খায়, আর এখন এমন কোনো দপ্তর নেই যেখানে ঘুষ খাওয়া হয় না—সংসদে এমন বক্তব্য দিয়েছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য গোলাম কিবরিয়া।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন গোলাম কিবরিয়া।
যাঁরা ঘুষ খান না, দুর্নীতি করেন না, তাঁরা এখন সংখ্যালঘু, তাঁরা দুর্বল ও বোকা কর্মকর্তা হিসেবে এখন পরিচিত বলেও উল্লেখ করেন জাতীয় পার্টির (জাপা) এই সংসদ সদস্য। তিনি বলেন, তাঁদের (যাঁরা ঘুষ খান না) তেমন কোনো কাজও নেই। এখন বড় বড় রাঘববোয়াল টাকা বা ডলারে ঘুষ খান না। তাঁরা এখন সোনার বার ঘুষ হিসেবে নেন। তিনি দাবি করেন, সব জায়গায় সিন্ডিকেট করে ওই কর্মকর্তারা দুর্নীতি করেন। টাকা না দিলে কাজ হয় না। মাসের পর মাস ঘুরতে হয়। অফিসে গিয়ে কর্মকর্তাদের পাওয়া যায় না।
সরকারের উদ্দেশে গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘বড় বড় রাঘববোয়াল কারা, তাঁদের খুঁজে বের করেন। আমরা যদি জানতে পারি, এ দেশে যাঁদের জানার দায়িত্ব, তাঁরা কেন জানবেন না। তাঁরা অবশ্যই জানেন। না জানলে তাঁদের বাদ দিয়ে যাঁরা জানেন, তাঁদের দায়িত্ব দেন। এমন লোক বসান, যাঁরা বসলে ঘুষ, দুর্নীতি বন্ধ হবে।’
যাঁরা বিদেশে টাকা পাচার করে বেগম পাড়ায় বাড়ি করেছেন, তাঁদের শতকরা ৯০ জন আমলা বলেও দাবি করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া। তিনি আরও দাবি করেন, এখন বড় বড় রাঘববোয়াল টাকা বা ডলারে ঘুষ খান না। তাঁরা সোনার বারে ঘুষ নেন।
এই সংসদ সদস্য বলেন, এত দিন শোনা যেত কানাডায় বেগম পাড়া। কয়েক দিন আগে দেখা গেল, লন্ডনে বেগম পাড়া। বেগম পাড়া বলতে মানুষ মনে করে, এটা সংসদ সদস্যরা করেছেন। এটা ঠিক নয়। যাঁরা টাকা পাচার করে বিদেশে বাড়ি করেছেন, যাঁদের কারণে বেগমপাড়া নামটি এসেছে, তাঁদের শতকরা ৯০ জন আমলা।
গোলাম কিবরিয়া বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম দেশের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই পার্বত্য চট্টগ্রামকে জনগণের শান্তিশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় সেনাবাহিনীর বৃহৎ দল পাঠানো দরকার। পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য কমপক্ষে তিন লাখ সেনাসদস্য দরকার।


















