‘নিজেকে সময় দেওয়া দরকার, রিফ্রেশমেন্ট দরকার ’এই কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে এসেছিলেন পরীমণির স্বামী অভিনেতা শরীফুল রাজ। এরপর অনেক ঘটনাই ঘটেছে। উভয়ের একসঙ্গে থাকা আর সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করে নিজেদের সম্পর্কের সমাপ্তির কথাও জানিয়েছেন তারা। সেই রাজ বাসা থেকে বের হয়ে আসার প্রায় ২০ দিন পর বাসায় ফিরলেন।
হ্যাঁ,শনিবার দিবাগত রাতে শরিফুল রাজ পরীমণির বাসায় ফিরেছেন। রোববার পরীমণি তার ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যে ভিডিওতে ছেলে রাজ্যের ১০ মাস পূর্তিতে রাজ-পরীকে একসঙ্গে কেক কাটতেই দেখা গেল। পাশে পরীমণির নানাও উপস্থিত ছিলেন।
ভিডিওতে পাশাপাশি বসা রাজ-পরীকে বেশ হাসিখুশি দেখা যায়। ভিডিওর ক্যাপশন ছিল, আজ রাজ্যের দশ মাস পূর্ণ হলো আলহামদুলিল্লাহ। মাসের দশ তারিখটা আমাদের জন্য অনেক স্পেশাল! ব্যাস এতটুকুই…।
গত ৩০ মে পরীমণি জানিয়েছিলেন, ১০ দিন ধরে রাজ তার বাসায় নেই। কোথায় আছেন তার কিছুই জানেন না তিনি। ওই ১০ দিন একটিবারের জন্য ছেলের খবরও নেননি। পরীর সে সময়কার ভাষ্য, রাজ বাসায় নেই ১০ দিন! এতো দিন বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি বারও আমার ও বাচ্চার খোঁজ নেয়নি। হতে পারে বন্ধুদের নিয়ে ব্যস্ত ছিল, পার্টি করছিল। কিন্তু আমি মনে করি, বিয়ের পর এতটা ফ্রি থাকা উচিত নয়। অন্তত কিছুটা হলেও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।
- রাজ আমার স্বামী- এটা আর ভাবতে চাই না: পরীমণি
- রাজকে ‘ফেক’ বলে ২৪ ঘণ্টায় ডিভোর্স চাইলেন পরীমণি
পরে আরেক সাক্ষাৎকারে পরী বলেন, ‘ও তো আমাকে ছেড়ে চলেই গেছে, বিচ্ছেদ তো হয়েই গেছে। আমি আর কল্পনাতেও ভাবতে চাই না শরিফুল রাজ আমার জামাই।
চুপ থাকেননি শরিফুল রাজও তিনি সাফ জানিয়েছিলেন পরীমণির সঙ্গে তার আর একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, মে মাসে চিত্রনায়ক শরীফুল রাজের ফেসবুক আইডি থেকে একটি ভিডিও পোস্ট হয়। যেখানে তার সাথে দেখা যায় অভিনেত্রী সুনেরাহ বিনতে কামাল। ভিডিওতে তাদের অসংলগ্ন কথোকপথনও ছিল। যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। পরে সুনেরাহ তার ফেসবুকে পরীমনির বিরুদ্ধে ইঙ্গিতপূর্বক অভিযোগ তুলে পোস্ট করেন। এর কয়েকদিন পরে মুখ খোলেন রাজও। এরপরই শুরু হয় রাজ-পরীর সংসারে টানাপোড়ন।