দক্ষিণ আফ্রিকায় সবচেয়ে পুরোনো কবরস্থানের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, এই কবরস্থানে ছোট আকারের মস্তিষ্কের ‘হোমো নালেডি’ বর্গের প্রাণীর দেহাবশেষ পাওয়া গেছে। হোমো নালেডির সঙ্গে মানুষের দূরগত সম্পর্ক (ডিস্ট্যান্ট রিলেটিভ) রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ইউনেসকো–ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের স্থানের পাশে কবরস্থানটির সন্ধান পাওয়া গেছে। এসব কবর এক লাখ বছরের বেশি পুরোনো বলে দাবি করা হচ্ছে।
গবেষক ও জীবাশ্মবিজ্ঞানী লি বার্গার গতকাল সোমবার বলেন, তাঁরা হোমো নালেডির কয়েকটি নমুনা পেয়েছেন। মাটির প্রায় ৩০ মিটার (১০০ ফুট) নিচে ছিল। হোমো নালেডি হলো প্রস্তুর যুগের স্তন্যপায়ী বর্গের প্রাণী, যারা গাছে চড়ে বেড়াত।
এই অনুসন্ধান ও গবেষণাকাজে নেতৃত্ব দেওয়া লি বার্গার আরও বলেন, এগুলো স্তন্যপায়ী বর্গের প্রাণীর সবচেয়ে পুরোনো কবর। এর আগে কমপক্ষে এক লাখ বছরের পুরোনো মানুষের (হোমো সেপিয়েন্স) কবরের নমুনা পাওয়া গিয়েছিল। এই করব তার চেয়েও পুরোনো।
লি বার্গার এর আগে বার্তা সংস্থা এএফপির কাছে কবরগুলো কমপক্ষে খ্রিষ্টপূর্ব দুই লাখ বছর আগের বলে দাবি করেছিলেন। তাঁর এ ঘোষণা বিতর্কের জন্ম দেয়।
এর আগে প্রায় এক লাখ বছরের পুরোনো কবরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায়। ওই সব কবরে মানুষের দেহাবশেষ ছিল।
প্রাচীন এই কবরের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি মানুষ সম্পর্কে বিদ্যমান মূল্যায়নকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিল। ধারণা করা হয়, বড় মস্তিষ্কের কারণে মানুষের কর্মকাণ্ডের পরিধি বড়, তারা নানা ‘অর্থপূর্ণ’ কাজ করে থাকে, যেমন মৃতকে কবর দেওয়া।
লি বার্গার বলেন, ‘হোমো নালেডি এটাই বলছে যে আমরা আলাদা কিছু (স্পেশাল) নই।’