২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ভাতা, শিক্ষাবৃত্তির বরাদ্দ বাড়ানোসহ ১১ দফা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। তাঁরা তাঁদের দাবির বিষয়ে জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে বার্তা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। কোনো আশ্বাস নয়, তাঁরা চান সিদ্ধান্ত।
১১ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালনের জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে জড়ো হন।
সংক্ষুব্ধ প্রতিবন্ধী নাগরিক সমাজের ব্যানারে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা বেলা ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়েন।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে কয়েকজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ফের তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। এরপর তাঁরা জাতীয় জাদুঘরের সামনের সড়কে অবস্থান নেন।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া বাংলাদেশ সোসাইটি ফর দ্য চেঞ্জ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেক্সাসের (বি-স্ক্যান) সমন্বয়ক ও দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ব্যক্তি ইফতেখার মাহমুদ বলেন, চলমান সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী তাঁদের দাবির বিষয়ে কিছু বলবেন, সেই অপেক্ষায় আছেন তাঁরা। আশ্বাস নয়, তাঁরা চান সিদ্ধান্ত।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দাবির মধ্যে রয়েছে—মাসিক ভাতা পাঁচ হাজার টাকা করা, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভাতা দুই হাজার টাকা করা, সরকারি চাকরিতে বিশেষ নীতিমালা, হাজার কোটি টাকার প্রতিবন্ধী উদ্যোক্তা তহবিল গঠন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি উন্নয়ন অধিদপ্তরকে কার্যকর করা, ইশারা ভাষা ইনস্টিটিউট ও সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে দোভাষী নিশ্চিত করা, শিক্ষা ও চাকরির নিয়োগে শ্রুতিলেখক নীতিমালা, প্রবেশগম্য অবকাঠামো ও গণপরিবহন নিশ্চিতে অর্থ বরাদ্দ, রাজনৈতিক দলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সংবেদনশীল বাজেট করা।