ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়েরের বদলির দাবি জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুজ্জামান সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ওসির দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলে এই দাবি জানিয়েছেন নুরুজ্জামান সরকার।
নুরুজ্জামান সরকার বলেন, আজ শুক্রবার বেলা দুইটার মধ্যে ওসির বদলির আদেশ জারি করতে হবে, নাহলে দুইটার পর থেকে তারাকান্দা বাজারের দোকানপাট বন্ধের ঘোষণা আসবে।
গতকাল রাতে তারাকান্দা উপজেলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নুরুজ্জামান সরকারের নির্বাচনী কার্যালয়ে অতর্কিত হামলা করে গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা এই হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ নুরুজ্জামানের। এতে বিদ্রোহী প্রার্থীর ১৩ কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের গতকাল রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য।
তারাকান্দায় ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর কার্যালয়ে গুলি-ককটেল হামলার অভিযোগ
নুরুজ্জামন সরকার উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি তারাকান্দা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি। সম্প্রতি তাঁকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
নুরুজ্জামান সরকারের দাবি, গতকালের হামলা ছিল পরিকল্পিত। গত বুধবার আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মীরা নুরুজ্জামানের পেট্রলপাম্পে গিয়ে হত্যার হুমকি দেন। এরপর তিনি ওসিকে বিষয়টি জানিয়ে নিরাপত্তা দাবি করেন। গতকাল রাতে হামলার সময় নুরুজ্জামান সরকার নিজের নির্বাচনী কার্যালয়ে ছিলেন না। তবে খবর পেয়ে তারাকান্দা থানার ওসিকে ফোন করলে ওসি ফোন কেটে দেন।
নুরুজ্জামান বলেন, ‘থানা থেকে আমার নির্বাচনী কার্যালয় মাত্র ১০ থেকে ২০ হাত দূরত্বে। অথচ পুলিশ আসেনি। পরে ৯৯৯–এ ফোন করা হলে পুলিশ আসে।’
নুরুজ্জামান সরকারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তারাকান্দা থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, গতকাল রাতে নুরুজ্জামান সরকার যখন ফোন করেছিলেন, তখন দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্য অনেকগুলো কল আসে। ওই সময় ব্যস্ত থাকায় তাঁর ফোন ধরা সম্ভব হয়নি।
১২ জুন তারাকান্দা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফজলুল হক। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নুরুজ্জামান সরকার ছাড়াও রয়েছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এম এ মাসুদ তালুকদার ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী রফিকুল ইসলাম মণ্ডল।