প্রিমিয়ার লিগে একটি করে ম্যাচ বাকি আছে। চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ হয়ে গেছে। আগামী মৌসুমে ইংলিশ লিগ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কারা খেলবে সেটাও ঠিক হয়ে গেছে। শেষ দিন কেবল ইউরোপা লিগ ও অবনমন নিয়ে নাটকীয়তা হতে পারে।
মৌসুম শেষের পথে থাকায় সংবাদ মাধ্যম গোল ডটকম সেরা একাদশ নির্বাচক করেছে। যেখানে অনুমিতভাবে আর্লিং হ্যালন্ড জায়গা পেয়েছেন। আবার ট্রেবলের পথে থাকা ম্যানসিটি গোলরক্ষক এদেরসন নেই একাদশে।
নিক পোপ (গোলরক্ষক): মৌসুমে সবচেয়ে বেশি ক্লিনশিট দিয়েছেন ডেভিড ডি গিয়া। শিশুসুলভ ভুলও করেছেন তিনি। আর্সেনালের অ্যারন রামসডেল, লিভারপুলের অ্যালিসন কিংবা ম্যানসিটির এদেরসন অসাধারণ খেলেছেন। তবে নিক পোপ ছিলেন অনন্য। নিউক্যাসলের সেরা চারে মৌসুম শেষ করার পথে এই ইংলিশ গোলরক্ষক কোন ভুল করেননি।
কিয়েরান ট্রিপিয়ার (রাইট ব্যাক): সৌদি মালিকানায় যাওয়ার পর নিউক্যাসল প্রথমে ডিফেন্ডার কিয়েরন ট্রিপিয়ারকে কিনেছিল। অ্যাথলেটিকো মাদ্রিদ ছেড়ে নিউক্যাসল প্রজেক্টে আস্থা রেখেছিলেন তিনি। ভুল করেননি ট্রিপিয়ার। রক্ষণ ও আক্রমণে অসাধারণ খেলেছেন তিনি।
উইলিয়াম সালিবা (সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার): ফ্রেঞ্চ লিগ থেকে ধারের মেয়াদ শেষ করে মৌসুমের শুরুতে আর্সেনালের আসেন সালিবা। তরুণ এই ডিফেন্ডার আর্সেনালের শুরুর একাদশে খেলার যোগ্য কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। সব প্রশ্নের উত্তর তিনি মাঠে দিয়েছেন।
লিয়ান্দ্রো মার্টিনেজ (সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার): মোটা অঙ্কের অর্থে লিয়ান্দ্রো মার্টিনেজকে দলে নিয়েছে ম্যানইউ। শারীরিকভাবে খর্বকায় হওয়ায় প্রিমিয়ার লিগের অতি শারীরিক ফুটবলে সেন্ট্রাল ডিফেন্স সামলাতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। মার্টিনেজ ওই ভুল ভেঙে দিয়েছেন।
নাথান একে (লেফট ব্যাক): অনেকের মতে ম্যানসিটির মৌসুম সেরা তিন ফুটবলারের একজন নাথান একে। সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার হয়ে লেফট ব্যাক সামলেছেন তিনি। তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণে জোয়াও ক্যানসেলোকে ধারে ছেড়ে দিয়েছে সিটিজেনরা।
রদ্রি (ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার): বর্তমান বিশ্বের সেরা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার বলা হচ্ছে রদ্রিকে। ম্যানইউ-এর হয়ে কাসেমিরো অসাধারণ মৌসুম কাটানোয় ভক্তরা দ্বিমত পোষন করতে পারে। কিন্তু ম্যানসিটির ট্রেবলের পথে রদ্রি ছিলেন বড় অস্ত্র। তাকে ছাড়া গার্দিওয়ালা মাস্টারক্লাস দেখাতে পারতেন কিনা সন্দেহ।
মার্টিন ওডেগার্ড (সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার): টনি ক্রুসের ভবিষ্যত বিকল্প ভাবা হচ্ছিল মার্টিন ওডেগার্ডকে। কিন্তু রিয়ালের বেঞ্চে থাকতে রাজি ছিলেন না তিনি। ধারের পর আর্সেনালে স্থায়ী চুক্তি করে ওডেগার্ড দেখিয়েছেন, মাঝমাঠের নতুন কান্ডারি তিনি। নেতৃত্বগুনও অসাধারণ। গোল করেছেন ১৫টি।
কেভিন ডি ব্রুইনি (সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার): ডি ব্রুইনির পা এবং মাথা থেকে আরও একটি অসাধারণ মৌসুম এসেছে। ম্যানসিটির প্রাণভোমরা হিসেবে খেলেছেন তিনি। শুধু প্রিমিয়ার লিগের নয় ডি ব্রুইনি সম্ভবত বর্তমান বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডার।
বুকোয়াকা সাকা (রাইট উইঙ্গার): মোহামেদ সালাহ গোল করেছেন, গোল মিসও করেছেন। তবে ২১ বছরের বুকোয়া সাকা ছিলেন অসাধারণ। তিনি মৌসুমে ১৩ গোল করেছেন ও ১১ গোলে সহায়তা দিয়েছেন।
আর্লিং হ্যালান্ড (সেন্ট্রাল ফরোয়ার্ড): ম্যানসিটির গোলমেশিন আর্লিং হ্যালন্ড। মৌসুমে ৩৬ লিগ গোল করেছেন তিনি। সাত গোলে সহায়তাও দিয়েছেন বাঁ-পায়ের দীর্ঘদেহি এই স্ট্রাইকার।
মার্কোস রাশফোর্ড (লেফট উইঙ্গার): এরিক টেন হ্যাগের অধীনে রাশফোর্ড ম্যানইউতে থাকতে পারবেন কিনা প্রশ্ন উঠেছিল। তার প্রতিভা, আগুন যেন নিভে যাচ্ছিল। সেই রাশফোর্ড লিগে ১৭ গোল করেছেন। ম্যানইউ-এর আক্রমণ একাই টেনেছেন তিনি।