পারিবারিক বিরোধ সামাল দিতে মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যের একটি বাড়িতে পুলিশকে ডাকা হয়েছিল। পরিবারটির ১১ বছর বয়সী এক শিশু পুলিশকে ফোন করেছিল। পুলিশ কর্মকর্তা বাড়িতে এসে হঠাৎ গুলি করে বসেন। আর এতে ওই শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। পরিবার বলেছে, হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর শিশুটি ইতিমধ্যে বাড়ি ফিরেছে। এ ঘটনায় দায়ী পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
ঘটনাটি গত শনিবারের। গুলিবিদ্ধ শিশুটির নাম অ্যাডেরিন মারি। তার ফুসফুসে জটিলতা দেখা দিয়েছিল, পাঁজর ও যকৃতে আঘাত লেগেছিল। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে শিশুটিকে বাড়িতে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। মিসিসিপি ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করছে। অ্যাডেরিনের মা নাকালা মারি ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত এবং তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার ইন্ডিয়ানোলা সিটি হলের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নাকালা বলেন, গত শনিবার সকালে তাঁর আরেক ছেলের বাবা তাঁদের বাড়িতে আসেন এবং চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। এমন পরিস্থিতে তিনি ( নাকালা) ছেলেকে বাড়িতে পুলিশ ডাকতে বলেন।
পরে সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাকালা বলেন, ইন্ডিয়ানোলা পুলিশের ওই কর্মকর্তা বাড়িতে এসে সামনের দরজা বরাবর বন্দুক তাক করেন। এরপর সবাইকে বাড়ির ভেতর থেকে বাইরে বের হয়ে আসতে বলেন। অ্যাড্রিয়েন বাড়ির করিডরের এক কোনায় সরে গিয়েছিল। আর তখনই ওই পুলিশ কর্মকর্তা ফাঁকা গুলি ছোড়েন, আর তা অ্যাড্রিয়েনের বুকে লাগে। অ্যাড্রিয়েন তখন বলতে থাকে, ‘উনি আমাকে কেন গুলি করলেন? আমি কী করেছি?’ এরপর অ্যাড্রিয়েন কাঁদতে শুরু করে।
নাকালা আরও বলেন, তিনি হাতের তালু দিয়ে তাঁর ছেলের ক্ষতস্থান চেপে ধরে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। চিকিৎসাকর্মীরা ঘটনাস্থলে না পৌঁছানো পর্যন্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তাও তাঁকে সহযোগিতা করেছেন।
এরপর অ্যাডেরিনকে দ্রুত ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নাকালা মারি এবং তাঁর পরিবারের আইনজীবী কার্লোস মুর কর্মকর্তাদের আরও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। মুর বলেছেন, ওই কর্মকর্তাকে সবেতন প্রশাসনিক ছুটিতে পাঠানো হবে।
সোমবার সংবাদ সম্মেলনে মুর বলেন, ‘আপনারা কিসের জন্য অপেক্ষা করছেন? কাউকে কি সত্যিই মারা যেতে হবে?’
গতকাল বৃহস্পতিবার সিটি হলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন নাকালা মারি, মুর এবং আরও কয়েকজন। তাঁরা ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
ইন্ডিয়ানোলা পুলিশ বিবিসিকে বলেছে, তারা আপাতত এ প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করবে না।