২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ২০ লাখ ৯৪ হাজার ১১২ কোটি টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। তাদের এ বাজেটের আকার চলতি অর্থবছর সরকারের বাজেটের চেয়ে তিন গুণ। একই সঙ্গে আগামী অর্থবছরের জন্য অর্থমন্ত্রী যে বাজেট দিতে যাচ্ছেন, তার তুলনায় ২ দশমিক ৭ গুণ। আগামী ১ জুন অর্থমন্ত্রী ৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে পারেন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির কার্যালয়ে এ বিকল্প প্রস্তাব দেন সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত। সূচনা বক্তব্য দেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আইনুল ইসলাম।
আগামী ১০ বছরে ছয়টি লক্ষ্য অর্জনের জন্য এ বিকল্প বাজেট প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান সমিতির সভাপতি আবুল বারকাত। সেগুলো হচ্ছে ৭০-৮০ শতাংশ মানুষকে মধ্যবিত্ত শ্রেণিতে উন্নীত করা, বৈষম্য সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা, ধনিক শ্রেণির সম্পদ দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে বণ্টন, উন্নয়নে দেশজ অর্থনীতিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব, মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক ও আলোকিত করার সুযোগ তৈরি ও মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।
আবুল বারকাত আরও বলেন, এখন মানুষের দুঃখ–দুর্দশার মূল কারণ মূল্যস্ফীতি; মানুষ সঞ্চয় ভাঙছেন, ধারদেনা করে চলছেন। ভোগব্যয় কমিয়েছেন অনেকে, বিশেষ করে আমিষ খাওয়া বাদ দিয়েছেন অনেক মানুষ। ওষুধপত্র কেনার সামর্থ্যও হারাচ্ছেন অনেকে। তিনি আরও বলেন, নিম্ন-মধ্যবিত্তের অস্তিত্ব বিলুপ্তির পথে। বেকারত্ব বাড়লে জিনিসপত্রের দাম কমলেও কিছু যায় আসে না।
অর্থনীতি সমিতির সভাপতি বলেন, সম্পদ করারোপ করে ২ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা আদায় করা সম্ভব। বৈষম্য কমাতে হলে সম্পদ করারোপ করতে হবে। সম্পদশালীদের কর কমানো হলে বৈষম্য কমে না। এ ছাড়া সমাজের কম আয়ের ৯০ শতাংশ মানুষের কর কমানো হলে তাদের কর্মসংস্থান ও আয় বাড়ে।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির প্রসঙ্গে আবুল বারকাত বলেন, ‘আমেরিকার নতুন ভিসা নীতির কারণে কার সমস্যা হবে, বুঝতে পারছি না। তবে দেশের ৯০ শতাংশ মানুষের সমস্যা হবে না। কারণ, তাঁদের আমেরিকার ভিসার দরকার নাই।’