কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ব্যবসায়ী আশিকুর রহমান (৩৮) হত্যার ঘটনায় আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর এলাকা থেকে র্যাব আলী হোসেন (৪৫) নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
ভৈরবে ছিনতাইকারীদের হাতে প্রাণ যায় ব্যবসায়ী আশিকুরের, দাবি পুলিশের
গতকাল রাতে গ্রেপ্তার হওয়া আলী হোসেন ভৈরব উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের আদর্শপাড়া গ্রামের মৃত বশির উদ্দিনের ছেলে। র্যাব বলছে, আলী হোসেন ডাকাতির সঙ্গে জড়িত। আশিকুর হত্যাকাণ্ডে তাঁকে মূল অভিযুক্ত মনে করা হচ্ছে। এর আগে ব্যবসায়ী আশিকুর হত্যার ঘটনায় পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যৌথ অভিযানে সোহাগ মিয়া (৩০) ও সাইদুল ইসলাম (৩৫) নামের দুই ব্যক্তি গ্রেপ্তার হন।
র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্প সূত্র জানায়, ব্যবসায়ী আশিকুর হত্যার ঘটনার পরই ছায়া তদন্তে নামে র্যাব। তদন্তে হত্যার ঘটনায় আলী হোসেনের সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে। গতকাল রাতে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেও আলী হোসেন ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া সোহাগ মিয়ার সঙ্গে আলী হোসেনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
ভৈরবে ব্যবসায়ী আশিকুর হত্যায় গ্রেপ্তার আরও একজন
র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার মোহাম্মদ আক্কাছ আলী বলেন, আশিকুর হত্যায় আলী হোসেনকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। তিনি র্যাবের কাছে হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। আলী হোসেনের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির অভিযোগে ছয়টি মামলা আছে। আলী হোসেনকে ভৈরব থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে আলী হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়।
থানা-পুলিশ জানায়, আশিকুর রহমানের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মহেষপুর ইউনিয়নের ঘাগুটিয়া গ্রামে। তিনি ডকইয়ার্ড ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। ১৩ মে বিকেলে তিনি ব্যবসায়িক প্রয়োজনে নিকলীতে যান। রাত ৯টার দিকে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের ভৈরবের বিসিক শিল্পনগরী এলাকায় সড়কের পাশ থেকে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার আশিকুরের স্ত্রী স্বর্ণা বেগম বাদী হয়ে ভৈরব থানায় হত্যা মামলা করেন।