ভারতের সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আদানি গ্রুপে বৈদেশিক লিংক বা সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। অর্থাৎ আদানি গ্রুপে বিদেশি বিনিয়োগে নিয়ম লঙ্ঘন নিয়ে যে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল, সেটি তদন্ত করতে গিয়ে প্রমাণ করার মতো কিছু পায়নি নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এ রকম অভিযোগ তদন্ত করাকে ‘গন্তব্যবিহীন যাত্রা’ বলে উল্লেখ করেছে আদালতের নিযুক্ত একটি প্যানেল।
এই খবর প্রকাশ হতেই গতকাল শুক্রবার লেনদেনের শেষ দিকে ভারতের পুঁজিবাজারে আদানি গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম ১ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।
এ বছরের গোড়ার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে ভারতের শেয়ারবাজারে আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারদরে ব্যাপক পতন ঘটে। তবে আদানি গ্রুপ হিন্ডেনবার্গের তোলা কারসাজির অভিযোগ নাকচ করে দেয়।
আদালতের গঠিত প্যানেল এক প্রতিবেদনে বলেছে, সেবির সন্দেহের ভিত্তি হচ্ছে আদানি গ্রুপে বিদেশি সংস্থাগুলোর মালিকানাসংক্রান্ত। সে অনুযায়ী তদন্তের লক্ষ্য ছিল, আদানি গ্রুপে একটি ‘অস্বচ্ছ’ কাঠামো রয়েছে।
প্যানেলের প্রতিবেদনে বলা হয়, আদানি গ্রুপে ১৩টির বেশি বিদেশি কোম্পানির মালিকানা থাকার বিষয়টি স্পষ্ট নয়।