চট্টগ্রাম নগরের উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুরুল আলম ওরফে জসিমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তাঁর মারধরের শিকার ভ্রাম্যমাণ দোকানি অপু প্রধান।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে নগরের আকবরশাহ থানায় মামলাটি করা হয়। মামলা নম্বর ২২। মামলার এজাহারে মারধর, দোকানের মালামাল লুটপাট ও চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলায় প্রধান আসামি কাউন্সিলর জহুরুল। তিনি উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। মামলায় পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
আকবরশাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়ালি উদ্দিন আকবর বলেন, ‘কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। অপু প্রধান তাঁকে মারধরের অভিযোগ এনে মামলাটি করেছেন। মামলার তদন্ত চলছে।’
গত বুধবার বিকেলে নগরের আকবরশাহ থানার পূর্ব ফিরোজশাহ এইচ লেন এলাকায় ভাসমান দোকানি অপু প্রধানকে প্রকাশ্যে চড়, থাপ্পড়, লাথি মারতে মারতে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন জহুরুল। মারধরের এ ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
ভ্রাম্যমাণ দোকানি অপু প্রধানের বিরুদ্ধে জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগ আনেন জহুরুল। তবে অপু দাবি করেন, তিনি লটারির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে থাকেন। তিনি ক্রোকারিজ ও মুদি মালামাল বিক্রি করেন।
অপু প্রধান আকবরশাহ মালিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। তাঁর বাড়ি পঞ্চগড় জেলায়।
মামলার এজাহারে অপু বলেন, অন্যান্য দিনের মতো গত বুধবার বিকেলে তিনি পণ্য বিক্রি করতে শুরু করেন। বিকেল পাঁচটার দিকে কাউন্সিলর এসে তাঁকে বলতে থাকেন, ‘তুই নাকি লটারি দিয়েছিস? কার পারমিশন নিয়ে তুই ব্যবসা করছিস? এখানে ব্যবসা করতে মাসোহারা দিতে হবে।’ এরপর তাঁকে (অপু) বেদম মারধর শুরু করেন কাউন্সিলর। এ সময় তাঁর দোকানের মালামাল লুট ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
জহুরুল আলম গতকাল বুধবার রাতে বলেন, ‘আমার বাসার সামনে লটারির মাধ্যমে জুয়ার আসর বসিয়ে পণ্য বেচাকেনার কারণে তাঁকে (অপু) একটা থাপ্পড় দিয়েছিলাম। পরে পুলিশকে ডেকেছিলাম।’
কাউন্সিলর জহুরুলের বিরুদ্ধে এলাকায় পাহাড়কাটা, জায়গা দখলের মতো অভিযোগ আছে। গত ২৬ জানুয়ারি পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শনে গেলে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়েন কাউন্সিলের অনুসারীরা। এ সময় অদূরে কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়।