খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন। বাকি তিনজনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে খুলনা সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শুরু হয়। আগামী ১২ জুন ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এ সিটিতে। আজ যাচাই-বাছাই শেষে ২৫ মে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন প্রার্থীরা। ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হবে প্রচার-প্রচারণা।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মেয়র পদে নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন আটজন। এর মধ্যে সাতজন মনোনয়নপত্র জমা দেন। আবদুল গফ্ফার বিশ্বাস নামের সাবেক এক সংসদ সদস্য মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তিনি তা জমা দেননি। ১৬ মে ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন।
আজ সকালে প্রথমে শুরু হয় মেয়র পদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাইয়ের কাজ। এ সময় মনোনয়নপত্রে তথ্যের ঘাটতি ও ভুল তথ্য থাকায় জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান, মো. আবদুল্লাহ চৌধুরী ও সৈয়দ কামরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। স্বতন্ত্র তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করার কারণ হিসেবে রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৩০০ ভোটারের সমর্থনকারীদের তথ্য ভুল ছিল। আর আয়কর রিটার্ন দাখিল, রশিদ ও প্রত্যয়নপত্র জমা না দেওয়ায় বাতিল করা হয়েছে জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেনের মনোনয়নপত্র।
এদিকে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবদুল আউয়ালের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এস এম শফিকুর রহমান গতবার জাতীয় পার্টির হয়ে নির্বাচন করেছিলেন। এবার তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি নির্বাচন করতে চান। সঠিক তথ্য না জানার কারণে ভুল হয়েছে। এ ব্যাপারে আপিল করবেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা সিটি করপোরেশনের সাধারণ ৩১টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের জন্য ১৪৯ জন ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডের জন্য ৩৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।