আবারও সংকটে মিরপুরের মনিপুর স্কুল, আন্দোলনে শিক্ষকেরা

0
198
মনিপুর স্কুল

দুই মাস পর আবারও সংকটের মুখে পড়েছে রাজধানীর অন্যতম বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ। উচ্চ আদালত এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেওয়া মো. জাকির হোসেনকে মেনে নেওয়ার দুই মাস তাঁকে অব্যহতি দিয়ে আরেকজন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছে বর্তমান অস্থায়ী পরিচালক কমিটি( অ্যাডহক) কমিটি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষকেরা আন্দোলনে নামেন।

কিছুক্ষণ আগে একজন শিক্ষক মুঠোফোনে  বলেন, তাঁরা বিদ্যালয়ের মুল ক্যাম্পাসের বালিকা শাখায় অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা চান মো. জাকির হোসেনই ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক থাকুক। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠানটিতে পড়াশোনা সমস্যার মুখে পড়েছে।

সংকটে থাকা মনিপুর স্কুলকে সরকারি করার দাবি প্রতিমন্ত্রীর

প্রতিষ্ঠানটির একটি সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে আখলাক আহম্মদ নামে যে শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একদিনের মাথায় আজ তিনি ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন জানা গেছে, বর্তমান  অস্থায়ী পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আগে থেকেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসা মো. জাকির হোসেনের দ্বন্দ্ব ছিল। এ কমিটির মেয়াদ একেবারে শেষ পর্যায়ে। এমন সময়ে কমিটির সভাপতি এ কে এম দেলোয়ার হোসেনের সই করা এক চিঠিতে গতকাল বুধবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে জাকির হোসেনকে অব্যহতি দেওয়ার কথা জানায়। একইসঙ্গে আখলাক আহম্মদ নামে আরেক শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ জন্য তাঁরা এখন আখলাক আহম্মদ সরে যাওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নামেন।

সাবেক ‘অবৈধ অধ্যক্ষ’ মো. ফরহাদ হোসেনকে রক্ষায় নানামুখী চেষ্টাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিষ্ঠানটিতে সমস্যা যাচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই সংকট এতোটাই বেশি হয়েছিল যে প্রতিষ্ঠানের দুটি পক্ষ পাল্টাপাল্টি ছুটি ঘোষণা, মামলা-মোকদ্দমার মধ্য দিয়ে এর বহিঃপ্রকাশ ঘটান। এ অবস্থায় গত ১২ মার্চ  শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের এক ঘোষণায় তখনকার সংকট কেটে গিয়েছিল। তখন তিনি সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নির্দেশে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেওয়া মো. জাকির হোসেনই এখন থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর থেকে পরিস্থিতি মোটামুটি ভালোই চলছিল। কিন্তু এখন আবারও নতুন করে সংকটের মুখে পড়ল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.