বরিশাল সিটিতে মেয়র প্রার্থী ১০ জন, কাউন্সিলর পদে ১৮৮

0
117
শেষ দিন মনোনয়নপত্র জমা দেন ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম

আসন্ন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন মেয়র পদে ১০ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ ছাড়া ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৪৬ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৪২ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। আজ মঙ্গলবার ছিল মনোনয়পত্র দাখিলের শেষ সময়।

বরিশাল সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, তার ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের, জাতীয় পার্টির প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন তাপস, জাকের পার্টির মিজানুর রহমান, স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র কামরুল আহসান, আসাদুজ্জামান, লুৎফুর কবির, মো. নেছারউদ্দিন ও আলী হোসেন হাওলাদার।

আলোচিত প্রার্থীদের মধ্যে শেষ দিন মনোনয়নপত্র জমা দেন ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। তিনি দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমীর।

আজ বেলা আড়াইটায় মনোনয়পত্র জমা দেওয়ার পর ফয়জুল করীম গণমাধ্যমকে বলেন, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে আমি যথেষ্ট সন্দিহান। আচারণবিধি মানার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন একটি দলের প্রার্থীর প্রতি যথেষ্ট নমনীয়। এ দলটি এরই মধ্যে লিফলেট ছাপিয়ে প্রচার শুরু করে দিয়েছে। এর বিপরীতে অন্য প্রার্থীদের বেলায় কয়েকগুণ বেশি কঠোর কমিশন। এখন পর্যন্ত আমি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত।

মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি দলীয় সাবেক মেয়র প্রয়াত আহসান হাবিব কামালের ছেলে সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান বলেন, এই নির্বাচন যে সুষ্ঠু হবে না, এটা জেনেশুনে আমি প্রার্থী হয়েছি। আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে আমি বিশ্বকে দেখাতে চাই, এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

মেয়র পদে দুই ভাই

ইসলামী আন্দোলনের সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা দলের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে দল। তার ছোট ভাই কেন্দ্রীয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি সৈয়দ এছাহাক মোহাম্মদ আবুল খায়েরও মেয়র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি চরমোনাই ইউনিয়নে টানা দুই মেয়াদ চেয়ারম্যান ছিলেন।

আজ মঙ্গলবার দুই ভাই একই সঙ্গে মনোনয়পত্র জমা দিতে যান। ফয়জুল করীম আগে রিটার্নিং কর্মকর্তার কক্ষে যান। তিনি বের হওয়ার পর সৈয়দ এছাহাক প্রবেশ করেন।

ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, সৈয়দ এছাহাক ডামি প্রার্থী হিসাবে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী থাকবেন। কেন্দ্রে পুলিং এজেন্ট নিয়োগ ও পরিবহনসহ নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সুবিধা পেতে দল এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফয়জুল করীম জানান, কোনো কারণে তার প্রার্থীতা বাতিল হলে তারা নির্বাচনী মাঠ ছাড়বেন না। তাই কৌশল হিসাবে ভাই সৈয়দ এছাহাককেও প্রার্থী করা হয়েছে।

মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বড় ভাই ফয়জুল মনোনয়ন বৈধ হলে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করবেন কি-না জানতে চাইলে সৈয়দ এছাহাক বলেন, বিষয়টি দলের মুরুব্বির বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.