চীনে ১৩ বছরের পুরোনো তিনটি টেসলা গাড়ি খুঁজে পাওয়া গেছে। টেসলা রোডস্টার ব্র্যান্ডের এই তিনটি গাড়ি ২০১০ সালে চীনে আনা হয়েছিল, কিন্তু গাড়ির মালিক সেগুলো নিতে অস্বীকৃতি জানালে গাড়িগুলো এক কনটেইনারের ভেতরেই ১৩ বছর ধরে পড়ে আছে। এখন সেগুলো নিলামে তোলা হচ্ছে, অনেক দামে তা বিক্রিও হতে পারে।
ইলেকট্রেক নামের এক পোর্টালের সংবাদের সূত্রে লাক্সারি লঞ্চেস এই খবর দিয়েছে। তিনটি গাড়ির মধ্যে দুটি কমলা রঙের, একটি লাল রঙের।
টেসলার প্রথম প্রজন্মের এই বৈদ্যুতিক স্পোর্টস কার কনটেইনারে একদম অক্ষত অবস্থায় পড়ে আছে। রং চটেনি, এমনকি কারখানা থেকে পা মোছার যে পাপস দেওয়া হয়েছিল, তাও অক্ষত আছে। এখন গ্রুবার মোটর্সের মাধ্যমে এই গাড়ি তিনটি নিলামে তোলা হচ্ছে। মার্কিন এই কোম্পানি টেসলা রোডস্টার মেরামতের জন্য বিখ্যাত।
এত দিন ধরে বন্দরে কনটেইনারে পড়ে আছে, ফলে এই গাড়ি তিনটির রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ও লাখ ইউয়ান ছাড়িয়েছে। বিক্রেতারা এখন সেই অর্থ পরিশোধেও রাজি।
গাড়িগুলো অক্ষত অবস্থায় থাকলেও সেগুলো ব্যবহার করা অতটা সহজ হবে না, অন্তত তেলভিত্তিক গাড়ির তুলনায়। মূল সমস্যা হচ্ছে এর ব্যাটারি– ১৩ বছর ধরে সেগুলো চার্জ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে ব্যাটারিগুলো আর ব্যবহার উপেযাগী নাও থাকতে পারে।
গ্রুবার বলেছে, গাড়িতে হাত না দেওয়া পর্যন্ত তারা বলতে পারবে না, ব্যাটারিগুলো ব্যবহার উপযোগী আছে কি না।
সংবাদে জানানো হয়েছে, মে মাসের মধ্যভাগের মধ্যে বিক্রি না হলে গাড়িগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। এই তিনটি গাড়ির নিলাম মূল্য উঠেছে ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার। কিন্তু গাড়ি তিনটি যেভাবে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে, তাতে দাম ১ মিলিয়ন বা ১০ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
রোডস্টার ছিল বাজারে আসা টেসলার প্রথম গাড়ি। এর ব্যাটারির ক্ষমতা ৫৩ কিলোওয়াট, এক চার্জে যা ২৪৪ কিলোমিটার পর্যন্ত চলত। মাত্র ৩ দশমিক ৭ সেকেন্ডের মধ্যে গাড়িটি শূন্য থেকে ৬০ মাইল গতিতে উঠতে পারে। এটি টেসলার বিরল মডেলগুলোর মধ্যে একটি, যা মাত্র ২ হাজার পিস বানানো হয়েছিল। সেটাও এই গাড়ির প্রতি মানুষের আকর্ষণের কারণ।