দুই দিন পর সচল হলো চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর

0
126
চট্টগ্রাম বন্দর

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কেটে যাওয়ায় গতকাল রোববার রাতেই চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর চত্বর থেকে পণ্য খালাস শুরুর ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার ভোরে জোয়ারের সময় সাগর থেকে জেটিতে ফিরিয়ে আনা হয় পণ্যবাহী জাহাজগুলো। সকাল সোয়া নয়টায় জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর কার্যক্রম শুরু হয়।

এর মধ্য দিয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব কেটে যাওয়ায় দুই দিন পর আবার সচল হলো চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর।

বন্দর সচিব ওমর ফারুক আজ সকালে বলেন, জেটি থেকে যেসব জাহাজ সাগরে পাঠানো হয়েছিল, আজ সেগুলো আবার জেটিতে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এ পর্যন্ত বন্দরের মূল জেটিতে ১৭টি জাহাজ সকালের জোয়ারে ফিরিয়ে আনা হয়। এর ফলে বন্দরের কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হলো।

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে আবহাওয়া অধিদপ্তর গত শুক্রবার রাতে মহাবিপৎসংকেত জারি করে। এরপর সমুদ্রবন্দর নিজস্ব সর্বোচ্চ সতর্কতা ‘অ্যালার্ট-৪’ জারি করে। সে অনুযায়ী বন্দর কার্যক্রম ধাপে ধাপে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে শনিবার ভোরে জোয়ারে জেটিতে থাকা সব জাহাজ সাগরে পাঠানো হয়। বন্দর কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ঘূর্ণিঝড় মোখা মূলত আঘাত হেনেছে মিয়ানমারের উপকূলে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের একটি অংশ সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ওপর দিয়ে গেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে তেমন প্রভাব পড়েনি। সব মিলিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে যাওয়ায় দুই দিন পর আবারও সচল হলো বন্দর। তবে এখন আগের মতো জাহাজের বেশি চাপ নেই। এতে করে খুব বেশি জটের মুখে পড়তে হচ্ছে না।

বন্দর কর্মকর্তারা জানান, বন্দরের জাহাজ জেটিতে ফিরিয়ে আনার পর এখন কর্ণফুলী নদীর উজানে সরিয়ে নেওয়া লাইটার জাহাজের চলাচলও শুরু হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সাগর উত্তাল হলেও জাহাজ ঢেউয়ের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে টিকতে পারে। কিন্তু জেটিতে থাকলে ঢেউয়ের ধাক্কায় জেটিতে আঘাত হেনে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। কিংবা চ্যানেলে ডুবে নৌপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। সে জন্য ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সব জাহাজ সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.