একটু দেরিতে হলেও শীতপ্রধান দেশ কানাডায় বসেছে চেরি ফুলের মেলা। চেরি ব্লজমের মধ্যে আনন্দ উদ্যাপনের নয়নাভিরাম ছবিগুলো পাঠিয়েছেন কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশের মেয়ে বেনজির শামস
শুধু জাপান বা আমেরিকা নয়, বসন্তের শেষে প্রতিবছর চেরি ফুলের সৌন্দর্যে বুঁদ হয় গোটা বিশ্ব। পৃথিবীর একেক অঞ্চলের জলবায়ু আর মৌসুমের আসা-যাওয়ার সময়ভেদে এই চেরি ফুল বিভিন্ন সময়ে ফুটে থাকে। বছর ঘুরে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের কুইন এলিজাবেথ পার্কে ফুটেছে চেরি ফুলের মেলা।
মাঝেমধ্যে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিও হচ্ছে। অপরূপ এই সৌন্দর্য উদ্যাপনে পার্কে আসছেন অনেকে। চেরি ফুলের এই প্রদর্শনী খুব ক্ষণস্থায়ী। মাত্র সপ্তাহ দুয়েক দেখা যায় চেরি ফুলের মেলা। এই জাতের চেরিগাছগুলো আসলে ফলের জন্য লাগানো হয় না।
প্রতি বসন্তে ফুলের সৌন্দর্যে সবাইকে মাতিয়ে ১৬-২০ বছর পর এই গাছগুলো প্রায়ই মরে যায়। এদিকে এই চেরিগাছ ২০-৪০ ফুট লম্বা হয়। চেরি ফুলের এই বার্ষিক মেলা নিয়ে বিশ্বব্যাপী উৎসাহের শেষ নেই।
নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে ৪০০ চেরিগাছের প্রতিটির রয়েছে নিজস্ব নাম। সারা বিশ্বে জনপ্রিয় আর জাপানে সমাদৃত এই ফুলের আদি নিবাস হিমালয় পর্বতে।
চেরি ব্লজম সুগন্ধি খুবই জনপ্রিয়। বিখ্যাত প্রসাধনী আর সৌন্দর্যপণ্যের ব্র্যান্ড বাথ অ্যান্ড বডি ওয়ার্কস এবং বডিশপের এই সুগন্ধিগুলো অত্যন্ত জনপ্রিয়। আবার চেরি ফুলের পাপড়ি খাওয়া যায়।
বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী জাপানি খাবার ও চায়ে এর ব্যবহার রয়েছে। পিকলিং করেও চেরি ফুল খাওয়া হয়। বিখ্যাত আইসক্রিম কোম্পানি বাসকিনস অ্যান্ড রবিনস ও হ্যাজেন ডাস এই চেরি ফুলের আইসক্রিমও বানিয়েছে।
নাদিমা জাহান