পাবনার ঈশ্বরদীতে অগ্নিদগ্ধ গৃহবধূ নিলুফা ইয়াসমিন ওরফে হ্যাপী (২৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গত বুধবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে এই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
নিলুফা ইয়াসমিনের স্বজনদের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে সোমবার স্বামী রনি সরদার নিলুফার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। ওই দিনই তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বুধবার তাঁকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আনা হয়।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার ঈশ্বরদী থানায় রনি ও তাঁর এক বন্ধুর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করে নিলুফার পরিবার। ওই দিনই রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন কারাগারে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, তদন্তে মনে হয়েছে, নিলুফার শরীরে তাঁর স্বামী রনি আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। এ কারণেই মামলা নেওয়া হয়েছে এবং রনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিলুফার ভাই ফরহাদুল ইসলাম আকন্দ জানান, তাঁদের বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দায়। ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্রে তিন বছর আগে নিলুফাকে বিয়ে করেছিল রনি। তিনি আগেও একটি বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সেটি গোপন রেখেছিলেন। বিয়ের পর নিলুফাকে নিয়ে পাকশীর রূপপুরের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন রনি। নিলুফাকে কখনোই নিজের বাড়ি ঈশ্বরদীর সাহাপুরে নিয়ে যাননি তিনি। সেখানে রনির প্রথম স্ত্রী ও সন্তানেরা থাকতেন। প্রথম বিয়ের বিষয়টি গোপন করা নিয়ে রনি–নিলুফার মধ্যে প্রায়ই পারিবারিক কলহ দেখা যেত। গত সোমবার সাহাপুরে রনির বাড়িতে যান নিলুফা। এ নিয়ে কলহের জেরে তাঁর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন রনি।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য নিলুফার লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।