এ বছরের শেষ নাগাদ ইউক্রেনের শান্তি আলোচনা শুরু হতে পারে। এমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার। সিবিএস নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বড় একটি টার্নিং পয়েন্টের দিকে এগোচ্ছে ইউক্রেন সংঘাত। ২০২৩ সালের শেষ দিকেই চীনের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা শুরু হতে পারে।
৯৯ বছর বয়সী এই কূটনীতিকের ওই সাক্ষাৎকারটি রোববার প্রচার করেছে সিবিএস। এতে তিনি বলেন, যেহেতু চীন শেষ পর্যন্ত আলোচনায় প্রবেশ করেছে, এর একটা গতি হবেই। আমার ধারণা, এ বছরের মধ্যেই সেটা হবে। এ সময়ের মধ্যে আমরা দেখব, ইউক্রেন সংঘাত বন্ধে দরকষাকষি শুরু হয়েছে। এমনকি সত্যিকারের আলোচনা দেখতে চলেছি আমরা। এর আগেও তিনি ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি আলোচনার ওপরে জোর দিয়েছিলেন। দুই পক্ষেরই ছাড় দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। ইউক্রেনের প্রতি ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন কিসিঞ্জার। পাশাপাশি দোনবাসের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বশাসনের অধিকার দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছিলেন। এদিকে, রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে আকাশপথে জোরালো হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বিজয় দিবসের ছুটির প্রাক্কালে দেশটিতে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা চালানো হয়েছে। গতকাল সোমবার ইউক্রেনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবছর ৯ মে বিজয় দিবস উদযাপন করে ইউক্রেনসহ ইউরোপের অনেক দেশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত বাহিনীর কাছে নাৎসি জার্মানির পরাজয়ের স্মরণে দিবসটি উদযাপন করা হয়। থাকে সরকারি ছুটি। এবার এ দিবসের আগে ইউক্রেনজুড়ে জোরালো হামলা চালাল রাশিয়া। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাৎসি বাহিনীর মতোই রুশ বাহিনী পরাজিত হবে।













