সাগরের তলদেশে ৫৫ কেজি রুপার বার

0
188
মাদাগাস্কারের সেন্ট মেরি দ্বীপে সাগরের তলদেশ থেকে ৫৫ কেজি রুপার বার উদ্ধার করা হয় ২০১৫ সালে

বিশ্বে প্রতিদিন নানা ঘটনা-দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ভাবন-উন্মোচিত হয় অনেক কিছুর। জন্ম ও মৃত্যু হয় অনেকের। তবে কিছু কিছু বিষয় দাগ কাটে মানুষের মনে, স্থায়ীভাবে ঠাঁই পায় ইতিহাসে। তেমন কিছু বিষয় নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিনে’। আজ ৭ মে। ফিরে দেখা যাক, উল্লেখযোগ্য কী ঘটেছিল এই দিনে। ‘অন দিস ডে: আ হিস্ট্রি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন ৩৬৬ ডেজ’ বই থেকে অনুবাদ করেছেন অনিন্দ্য সাইমুম

আফ্রিকার দ্বীপদেশ মাদাগাস্কারের সেন্ট মেরি দ্বীপে সাগরের তলদেশ থেকে ২০১৫ সালের এই দিনে ৫৫ কেজি রুপার বার উদ্ধার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের প্রত্নতত্ব গবেষক দল এসব রুপার বার উদ্ধার করে। ধারণা করা হয়, স্কটল্যান্ডের জলদস্যু ক্যাপ্টেন উইলিয়াম কিড লুট করে আনা এসব রুপা সাগরের তলদেশে মজুত করে রেখেছিলেন। ক্যাপ্টেন কিড নামে পরিচিত এই জলদস্যু সপ্তদশ শতাব্দীতে ওই এলাকায় দুর্ধর্ষ ছিলেন। ১৭০১ সালে ৫৬ বছর বয়সী ক্যাপ্টেন কিডকে আদালতের নির্দেশে লন্ডনে ফাঁসি দেওয়া হয়।

৭ পর্বতজয়ী প্রথম ব্যক্তি

কানাডার পর্বত অভিযাত্রী প্যাট্রিক মোরো। বিশ্বের সাতটি মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ জয় করেছেন তিনি। ১৯৮৬ সালের এ দিনে তিনি অনন্য এই কীর্তি গড়েন। প্যাট্রিক মোরো বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি, যিনি সাত মহাদেশের সাতটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পা রেখেছেন।

ডিনামাইটের স্বত্ব নেন নোবেল

সুইডিশ বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের অনন্য আবিষ্কারগুলোর একটি বিস্ফোরক ডিনামাইট। ১৮৬৭ সালের এ দিনে গুরুত্বপূর্ণ এই আবিষ্কারের স্বত্ব (পেটেন্ট) নেন তিনি। যে বিস্ফোরকের আকার হবে স্টিকের (কাঠি) মতো এবং এই আকার মেনে তা বিক্রি করা হবে। এটা এ কারণে নিরাপদ যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিস্ফোরণ ঘটবে না। তাই আগের যেকোনো বিস্ফোরকের তুলনায় এটা নিরাপদ। এই আবিষ্কার তাঁকে খ্যাতির পাশাপাশি প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক বানায়। তাঁর রেখে যাওয়া অর্থে চালু হয় মর্যাদাপূর্ণ নোবেল পুরস্কার।

জাপানের ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা কোম্পানি সনির যাত্রা শুরু হয় ১৯৪৬ সালে
জাপানের ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা কোম্পানি সনির যাত্রা শুরু হয় ১৯৪৬ সালে

সনি কোম্পানির যাত্রা শুরু

জাপানের ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা কোম্পানি সনি। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বজুড়ে এই কোম্পানির খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। শুরুতে কোম্পানিটির নাম ছিল টোকিও টেলিকমিউনিকেশনস ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন। ১৯৪৬ সালের এ দিনে সনির যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মাসারু ইবুকা ও আকিও মোরিতা।

জার্মানির নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত শক্তি জার্মানি। বিশ্বযুদ্ধ শুরুর আগে ইউরোপে দেশটির তুমুল প্রভাব প্রতিপত্তি ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হেরে সব হারাতে হয় অ্যাডলফ হিটলারের জার্মানিকে। ১৯৪৫ সালের এ দিনে ফ্রান্সের একটি শহরে মিত্রবাহিনীর কাছে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে জার্মান বাহিনী। এর মধ্য দিয়ে ইতি ঘটে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.