নৌকাবাইচে ‘হাত ছেড়ে দাও সোনার দেওরা রে’ গানের তালে দ্রুতলয়ে বইঠা ঠেলেন মাঝিমাল্লারা। উত্তরবঙ্গের সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী, রংপুর অঞ্চলে নৌকাবাইচের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে জনপ্রিয় সারিগানটি। নৌকাবাইচে মাঝির শক্তি সঞ্চার ও ছন্দ আনার উদ্দেশ্যে গানটি পরিবেশন করা হয়। মাঝিদের মুখ থেকে মুখে ফেরা গানটি নিয়ে আসছে কোক স্টুডিও বাংলা। আগামীকাল রোববার প্রকাশ পাবে ‘দেওরা’।
গানটি প্রথমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুনেছেন প্রীতম হাসান। কোক স্টুডিও বাংলার তরফ থেকে গান করার প্রস্তাব পাওয়ার পর গানটি নিয়ে কাজের আগ্রহ দেখান তিনি। প্রীতম হাসান গত বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাকে অর্ণব ভাই বলেছিলেন, “তুমি কী ধরনের গান করতে চাও?” আমার মাথায় ছিল, একটি সারিগান করব। সেই ভাবনা থেকেই গানটি করেছি।’
কোক স্টুডিও বাংলা বলছে, ‘দেওরা’ গানের মূল স্রষ্টা ফজলু মাঝি (ফজলুল হক)। নিজের লেখা গানটির সুরও বেঁধেছেন তিনি। ফজলু মাঝি পেশাদারভাবে নৌকাবাইচ করেন, তাঁর একটি নৌকাবাইচের দল রয়েছে। বাইচের সময় দলের সদস্যদের নিয়ে দলগতভাবে গানটি পরিবেশন করেন ফজলু মাঝি।
ফজলু মাঝির সারিগানের মাঝে নতুন কয়েকটা বাক্য যুক্ত করা হয়েছে, আধুনিক গানের অংশটুকু লিখেছেন প্রীতম হাসান। ফজলু মাঝি ও প্রীতমের যৌথভাবে লেখা গানে কোক স্টুডিও বাংলার সংগীত প্রযোজক শায়ান চৌধুরী অর্ণবের পরামর্শে পালা গান যুক্ত করা হয়। পালা পরিবেশন করেন ইসলাম উদ্দিন পালাকার। গানটির সুর করেছেন প্রীতম হাসান।
প্রীতম হাসান বলেন, ‘গানটি পরিবেশনের জন্য প্রচুর এনার্জি থাকতে হয়। সারিগান গাওয়ার সময় ঢোলের তালে তালে বাইচ করতে থাকেন মাঝিরা। ঢোলের তালের আমেজটি ভিন্নভাবে রাখার চেষ্টা করেছি আমরা। আশা করছি, ভালো কিছুই হবে। ’
গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রীতম হাসান, ইসলাম উদ্দিন পালাকার, ফজলু মাঝি ও তাঁর দল, আরমীন মুসা ও গানের দল-ঘাস ফড়িং। গানটির সুর করেছেন প্রীতম হাসান।