লিওনেল মেসি পিএসজির সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করবেন না। মৌসুম শেষে ফ্রি এজেন্টে অন্য কোন ক্লাবে যোগ দেবেন তিনি। ওই ঘটনার পর পিএসজির অবাধ্য হয়ে সৌদি আরবে গেছেন লিও। ক্লাবের অনুশীলনের মধ্যে ছুটি নেওয়ায় তাকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে পিএসজি।
মেসির ক্লাব ছাড়তে চাওয়ার ঘটনায় পিএসজির ভক্তরা ক্লাবের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেছে। মেসিকে গালি দিয়েছে, অপমান করে স্লোগান দিয়েছে। পিএসজি ভক্তরা মেসির পরিবার নিয়ে কটুক্তি করায় এবং মেসি খেদাও স্লোগান দেওয়ায় প্রতিবাদ করেছেন সাবেক আর্জেন্টাইন ফুটবলার হাভিয়ের মাশ্চেরানো, হুয়ান পাবলো সরিন এবং অ্যান্তোনি মোহাম্মদ।
আর্জেন্টাইন সংবাদ মাধ্যম ওলে’তে মাশ্চেরানো বলেছেন, ‘দশ বছরের মধ্যে পিএসজি এটার জন্য (মেসিকে অপমান) অনুশোচনা করবে। বিশ্বের যেকোন দল তাকে মাঠে পাঁচ মিনিটের জন্য পেতে সর্বোচ্চটা করতে প্রস্তুত। কোন পক্ষই এমন সমাপ্তি প্রত্যাশা করে না। এভাবে অপমান (স্লোগান দিয়ে) করা পেশাদারিত্ব হতে পারে না।’
মেসির সমালোচনা করা অসম্ভব বলেও মন্তব্য করেছেন বার্সেলোনায় ও আর্জেন্টিনায় মেসির সঙ্গে খেলা মাশ্চেরানো, ‘তার (মেসি) মতো পেশাদার ফুটবলার পাওয়া কঠিন, যদিও সে সম্ভবত ইতিহাসের সর্বকালের সেরা। পরিবার নিয়ে সেখানে সে আনন্দে থাকে সেখানে তাকে যেতে দেওয়া উচিত। এখানে হলে (আর্জেন্টিনা) ভালো, প্রতি সপ্তাহে তার সঙ্গে দেখা হবে। অন্যথায় তাকে টিভিতে দেখতে হবে, যেভাবে গত ২০ বছর দেখা হচ্ছে।’
আর্জেন্টিনার সাবেক ফুটবলার মোহাম্মদ অ্যান্তোনি বলেছেন, ‘মেসিকে এভাবে গালি দিচ্ছে, এটা ফুটবলের প্রতি অসম্মান। ওমন বাজে লোকজন কখনও কিছু জিততে পারেনি এবং গোলের মুখে আইফেল টাওয়ার দাঁড় করিয়ে দিলেও কিছু জিততে পারবে না।’
অ্যান্তোনি জানিয়েছেন, মেসিকে প্রথমে ব্যক্তিগতভাবে, এরপর পরিবার তুলে, স্ত্রী-সন্তানের নিয়ে গালিগালাজ করা হয়েছে। প্যারিসের লোকজন (সংবাদ মাধ্যম) সেটা আবার ভিডিও ধারণ করে প্রচার করেছে, এটা অসম্মানজনক, ভয়নক ব্যাপার। তিনি মনে করেন, ভক্তদের এভাবে পিএসজি কর্তৃপক্ষই রাস্তায় নামিয়ে বিক্ষোভ করাচ্ছে।
সাবেক আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার হুয়ান পাবলো সরিন সংবাদ মাধ্যম গোলকে বলেছেন, ‘মেসিকে নিয়ে যা ঘটছে এটা দেখাও কষ্টের। জানি না, আগামী কয়েক ঘণ্টা কী হবে বা সামনে কী অপেক্ষা করছে। আমি সবসময় তার ভালো চাই। আমি মনে করি, পিএসজিকে সে ভালো কিছু মুহূর্ত উপহার দিয়েছে। যদিও স্বপ্ন ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়, তবে এভাবে তার অপমান দেখা কষ্টের।’
সরিন জানিয়েছেন, মেসিকে এভাবে সমালোচনা করা, পরিবার নিয়ে কটুক্তি করা অযৌক্তিক। তিনি মনে করেন, মেসি এবং পিএসজির মধ্যে সম্পর্কের শেষটা আরও ভালো হতে পারতো। কারণ দুই পক্ষই আগে ওই ভালোবাসা একে অপরের প্রতি দেখিয়েছে। পিএজির সঙ্গে মেসির এমন সমাপ্তি চাননি বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।