কক্সবাজারে সম্প্রতি ট্রলার থেকে ১০ মরদেহ উদ্ধার প্রসঙ্গে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘যারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তাদের তথ্য সংগ্রহ করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।’
বুধবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘যে কোনোভাবে হোক না কেন, ১০টা প্রাণহানি হয়েছে। এ ঘটনা শোনার পরপরই আমরা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছি। এখানে সিআইডি টিম, পিবিআই টিম পাঠানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে কাজ করেছে র্যাবও। তারা এখানে এসে খোঁজ-খবর নিয়ে ঘটনার মূল কারণ বের করার চেষ্টা করেছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হয়েছে। কেউ কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। এ নিয়ে আমরা আরও কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘অপরাধ সংগঠিত হলে কোনো অপরাধীকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলার স্বাভাবিক গতি কেউ ভঙ্গ করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মঙ্গলবার বিকেলে একটি ফ্লাইটে আইজিপি কক্সবাজার আসেন। বুধবার উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে কক্সবাজার শহরে ফিরে তিনি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘অপহরণ কিংবা যেকোনো ধরনের অপরাধ সংগঠিত হলে আমাদের জাতীয় পরিষেবা ৯৯৯ এ যোগাযোগ করে সহায়তা চাওয়ার জন্য এলাকার সবাইকে অনুরোধ করবো। এ পরিষেবায় আমাদের টিম দক্ষতার পরিচয় দিচ্ছে। কিছুদিন আগেও ঢাকার রাজবাড়িতে একটা ডাকাতির ঘটনায় ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহায়তা পেয়েছে। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে আপনারা দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের তথ্য দিলে যে কেউ পুলিশের সহায়তা পাবে।’
জলদস্যুদের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আত্মসমর্পণ করা জলদস্যুদের ব্যাপারে প্রতিনিয়ত খবর রাখছে পুলিশ। তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আবারো কোনো অপরাধ কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে খবর রাখছি। তারা ভালো হতে চেয়েছে বলে আমরা তাদের সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু আত্মসমর্পণের কথা বলে তারা পুনরায় অপরাধ সংগঠিত করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’